রক্ত দিতেই বাংলাদেশে পা রেখেছি : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলছেন, জাতির পিতা রক্ত দিয়ে গেছেন এদেশের মানুষের জন্য, রক্ত দিয়ে গেছেন আমার মা আমার ভাইয়েরা। আমিও সেই রক্ত দিতেই বাংলাদেশে পা রেখেছি। কাজেই আমিও জানি আমার জীবনের কোনো মায়া নেই, আমার কোনো কিছু চাওয়া নেই। আজ সোমবার (১৬ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার একটাই চাওয়া যে আদর্শ নিয়ে আমার বাবা এই দেশ স্বাধীন করেছে। স্বাধীনতার সেই আদর্শ বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছে দেবো ওটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা। আমাদের প্রতিজ্ঞা হবে ওই রক্ত কখনো বৃথা যায়নি বৃথা যেতে পারে না, বৃথা যেতে দেব না। বঙ্গবন্ধুকে জনগণের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা হয়েছে, সেই চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। তবে কারা পাশে ছিল, ক্ষেত্র তৈরি করেছে, সবই জানি। ধীরে ধীরে সব বেরও হবে।
ইতিহাসের নানা বাঁক তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাহাত্তরের ১০ জানুয়ারি তিনি দেশে এলেন। বাহাত্তর সাল থেকেই ষড়যন্ত্র শুরু। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিভক্তি হলো। জাসদ সৃষ্টি হলো। একটা চেষ্টা ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে জনগণের কাছ থেকে দূরে সরানোর। সেই চেষ্টা করে যখন সফল হয়নি তখন তারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটালো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে খুনিদের বিচার হয়েছে। এ ঘটনা তারা ঘটিয়েছে আর যারা পাশে ছিল, যারা ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল তারাও সমানভাবে অপরাধী। আমি সবই জানি, বিচারটা জরুরি ছিল। এখন ধীরে ধীরে সবই বের হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা তখনকার পত্র-পত্রিকাগুলো পড়লেই অনেক কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে। একটা বিধ্বস্ত দেশ গড়তে যেখানে বছরের পর বছর লেগে যায় সেখানে একটি বছরও সময় দেওয়া হলো না। সাথে সাথে সমালোচনা শুরু হলো। ধৈর্য্য না ধরে নানা সমালোচনা, নানা কথা লেখা হলো।
তিনি বলেন, কারা এগুলো লিখেছিল, কাদের খুশী করতে এবং এই হত্যাকাণ্ডের জন্য গ্রাউন্ড প্রিপেয়ার কারা করছিল? আত্মস্বীকৃত খুনী ফারুক-রশিদের বিবিসিতে প্রদত্ত ইন্টারভিউ এর উদ্ধৃতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই হত্যাকাণ্ড যারা ঘটিয়েছে এবং যারা পাশে ছিল ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে সবাই কিন্তু সমানভাবে দোষী। তিনি বলেন, ১৫ আগস্টে এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা হবে, বঙ্গবন্ধুর রক্ত কখনো বৃথা যায়নি, বৃথা যাবে না, বৃথা যেতে আমরা দেবো না। এদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুঁটিয়ে আমার বাবা-মা ভাইয়ের আত্মা যেন শান্তি পায়; সেটাই আমি চাই এবং দেশবাসীর দোয়া চাই।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউ প্রান্তে আলোচনায় অংশ নেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, মো. আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত