আমাদের অবশ্যই এই যুদ্ধে জয়লাভ করতে হবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে আজকে আমাদের অবশ্যই এই যুদ্ধে জয়লাভ করতে হবে এবং এই স্বৈরাচারী শাসক হাসিনা সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই উদ্যোগ নেই। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সামনে যুদ্ধ। শৃঙ্খলার সঙ্গে তাতে অংশ নিতে হবে। বিএনপির ইতিহাস গনতন্ত্র ও রাষ্ট্রের অস্তিত্বের ইতিহাস। স্বাধীন জাতির অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠাই জিয়ার ইতিহাস। আওয়ামী লীগের ইতিহাস গনতন্ত্র ধ্বংসের ইতিহাস।
তিনি বলেন, প্রকৃত ইতিহাস থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে মিথ্যাচার করে কোনও লাভ হবেনা। জিয়াকে ইতিহাস ধারন করেছে। তিনি চিরজাগ্রত হয়ে আছেন। গনতন্ত্রের জন্য সমস্ত সুখ আয়েশ ত্যাগ করে কারান্তরীন হয়ে আছেন খালেদা জিয়া।
সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করে স্বাধীনতাকে কলংকিত করেছে বলে ও অভিযোগ করেন।
ফখরুল বলেন, ১৯৭৫ এর পর জিয়াউর রহমান আমাদের নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। জাতিকে নির্মানের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। তারা (আওয়ামী লীগ) কি নিজেদের জিজ্ঞাস করে তাদের অবদান কি দেশের জন্যে? তাদের অবদান হচ্ছে পাকিস্থানের কাছে সমর্পণ, তাদের ইতিহাস হচ্ছে ভারতে বসে থেকে দেশে এসে নেতা সাজা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ইতিহাস বিকৃতি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। এসময় আওয়ামী লীগ সরকার এর পতনে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐকবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
এ-সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) শাহজাহান ওমর, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত