‘কাশ্মীরের মুসলিমদের পক্ষে সোচ্চার ভূমিকা রাখবে তালেবান’

| আপডেট :  ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:২০  | প্রকাশিত :  ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:২০

ভারত শাসিত কাশ্মীরের মুসলিমদের পক্ষে সোচ্চার ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছে তালেবান। বিবিসির হিন্দি সার্ভিসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহীন এই কথা জানান। এই তালেবান নেতা বলেন, মুসলিম হিসেবে কাশ্মীর, ভারত বা অন্য যে কোনো দেশের মুসলিমদের পক্ষে কথা বলার অধিকার আমাদের আছে।

দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত এবং পাকিস্তান মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীর অঞ্চলের বিভিন্ন অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। তবে উভয় দেশের দাবি ‘পুরো কাশ্মীর’ তাদের নিজেদের। এটা নিয়ে ভারত-পাকিস্তান কয়েকটি যুদ্ধও করেছে। ভারত শাসিত কাশ্মীরে গত ৩০ বছর ধরে সহিংসতা চলছে।

যুক্তরাষ্ট্র সৈন্য প্রত্যাহার করার পর তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছে। শিগগিরই তারা সরকার গঠন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, তালেবান কাবুল দখলের পর এই প্রথম তাদের কোনো নেতা ভারত শাসিত কাশ্মীর সম্পর্কে মন্তব্য করলেন।

ভারত দুবছর আগে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে, যার মাধ্যমে জম্মু এবং কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসন নেওয়া হয়। এসব নিয়ে কাশ্মীর উপত্যকায় এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আফগানিস্তান তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার পর ভারতে অনেকে আশংকা করছেন, তালেবানের একটি অংশ পাকিস্তানের ভারত বিরোধী শক্তির প্ররোচনায় কাশ্মীরের দিকে তাদের নজর দেবে।

পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দল পিটিআই এর নেতা নিলাম ইরশাদ শেখ সম্প্রতি এক টেলিভিশনে উপস্থিত হয়ে বলেন, তালেবান আমাদের বলেছে, তারা আমাদের সঙ্গে আছে এবং তারা কাশ্মীরকে মুক্ত করতে আমাদের সাহায্য করবে।

গবেষণা সংস্থা কার্নেগি ইন্ডিয়ার এক রিপোর্ট অনুযায়ী, তালেবান ঘনিষ্ঠ ‘হাক্কানি গ্রুপ’ গত মাসে আফগানিস্তানে ভারতীয় স্থাপনায় হামলা চালায়। কাবুলে ভারতের দূতাবাসেও হামলা চালানো হয়েছিল।

তবে তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহীন বলছেন, হাক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে এসব কেবলই অভিযোগ, এটার সত্যতা নেই।

তালেবান নিয়ে ভারত সরকার ধীর নীতি অবলম্বন করছে। সম্প্রতি ভারতীয় কূটনীতিকরা তালেবান নেতার সঙ্গে কাতারের রাজধানীয় দোহায় বৈঠক করেন।

বৈঠকে ভারত কূটনীতিক আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা এবং আফগানিস্তানে আটকে পড়া নাগরিকদের দ্রুত দেশে ফেরার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তালেবান নেতার সঙ্গে সাক্ষাতে দোহায় ভারতের রাষ্ট্রদূত মিত্তাল বলেন, ভারতবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং সন্ত্রাসবাদের জন্য আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহৃত হওয়া উচিত হবে না।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত