আফগানিস্তানে নতুন সরকার ঘোষণা
মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দকে প্রধান করে আফগানিস্তানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করেছে তালেবান। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, আফগানিস্তানের নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে নেতৃত্ব দেবেন মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ। পাশাপাশি তার ডেপুটি হিসেবে কাজ করবেন সশস্ত্র ইসলামি এই গোষ্ঠীর সহ-প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল গনি বারাদার।
এর আগে, তালেবানের সিনিয়র নেতাদের বরাতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তালেবান নেতারা বলেছেন, আগামীকাল বুধবার তালেবানের নতুন সরকার ঘোষণা করা হতে পারে। তা যদি না হয়, তবে সরকার গঠন আরো কয়েকদিন পিছিয়ে যেতে পারে।
তালেবানের এক সিনিয়র নেতা দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে বলেছেন, আমিরুল মুমিনিন শেখ হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা তালেবান নেতা মোল্লা হাসান আখুন্দকে রাঈস-ই-জামহুর বা রাঈস-উল-ওয়াজারা অথবা আফগানিস্তানের নতুন রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে প্রস্তাব করেন। এছাড়া তিনি এও জানান, মোল্লা বারাদার আখুন্দ এবং মোল্লা আব্দুস সালাম মোল্লা হাসান আখুন্দের ডেপুটি হিসেবে কাজ করবেন।
তালেবানের তিনজন নেতা মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দের রাষ্ট্রপ্রধান মনোনয়ন নিশ্চিত করেছেন বলে দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে। মোল্লা হাসান আখুন্দ বর্তমানে তালেবানের প্রবল সিদ্ধান্ত-গ্রহণকারী পরিষদ রেহবারি শূরা বা নীতিনির্ধারণী পরিষদের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। তালেবানের তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত কান্দাহারে জন্ম তার। তাকে তালেবানের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তালেবানের আরেক নেতা বলেছেন, মোল্লা হাসান আখুন্দ ২০ বছর ধরে রেহবারি শূরার প্রধান হিসেবে কাজ করছেন এবং তালেবান নেতাদের মধ্যে তার অনেক সুখ্যাতি রয়েছে। এদিকে এনডিটিভি জানিয়েছে, অপেক্ষাকৃত স্বল্প পরিচিত হলেও দীর্ঘদিন ধরে দলটির রাজনীতিতে যুক্ত রয়েছেন মোল্লা হাসান আখুন্দ। তালেবানের আগের সরকারেও মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। জাতিসংঘের সন্ত্রাসী তালিকাতেও নাম রয়েছে তার।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে হামলার ও কাবুলে তালেবান সরকারের পতনের পরে পাকিস্তানের বালুচিস্তানে গঠিত তালেবান ‘কোয়েটা সুরা’র নেতৃত্বে ছিলেন আখুন্দ। বারাদারের মতোই তাকেও ২০১০ সালে পাকিস্তান প্রশাসন গ্রেফতার করেছিল। পরবর্তীতে মুক্তি পান তিনি। প্রায় দু’দশক ধরে আখুন্দজাদার ঘনিষ্ঠতম সহযোগী হিসেবে পরিচিত আখুন্দ তালিবানের শান্তি আলোচনা বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘রেহবারি সুরা’রও প্রধান ছিলেন।
তালেবান বলেছে, একইভাবে হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রবীণ আরেকজন নেতা সিরাজউদ্দিন হাক্কানিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর গভর্নর মনোনয়ন দেওয়ার কর্তৃত্বও পেয়েছেন; যেখান থেকে হাক্কানি নেটওয়ার্কের উত্থান ঘটেছিল। এসব প্রদেশের মধ্যে আছে, পাকতিয়া, পাকতিকা, খোস্ত, গার্দেজ, নানগরহার এবং কুনার।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত