তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেবে কি না, প্রশ্নে যা বলল চীন
আফগানিস্তানে সদ্য ঘোষিত তালেবান সরকারের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে চীন। আজ বুধবার বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়। খবর রয়টার্সের।
কাবুল দখলের তিন সপ্তাহ পর গতকাল মঙ্গলবার কট্টরপন্থী হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিদের নিয়ে আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করেছে তালেবান। সরকারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তালেবানের কয়েকজন বর্ষীয়ান নেতা ও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় থাকা হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতাদের।
আজ বেইজিংয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিনের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে আফগানিস্তানে সদ্য ঘোষিত তালেবান সরকারের প্রসঙ্গ ওঠে।
আফগানিস্তানের নতুন সরকারকে চীন স্বীকৃতি দেবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ওয়েনবিন তালেবান সরকারের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় বেইজিং প্রস্তুত বলে জানান।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে বেইজিং শ্রদ্ধা করে।
আফগানিস্তানে তালেবানের সরকার গঠনের ঘোষণাকে দেশটির পুনর্গঠনের জন্য একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেন ওয়েনবিন।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, বেইজিং আশা করে, আফগানিস্তানের কর্তৃপক্ষ দেশটির সব মানুষের কথা শুনবে। তারা জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রত্যাশা পূরণ করবে।
গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করে তালেবান। এর মধ্য দিয়ে দেশটির ক্ষমতা তালেবানের হাতে যায়। তবে তার আগে থেকেই চীনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে তালেবান। ক্ষমতায় আসার আগেই তালেবানের প্রতিনিধি চীন সফর করেন। তাঁরা সেখানে চীনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকও করেন।
কাবুল দখলের পর দুই পক্ষের মধ্যে একাধিক বৈঠক হয়েছে। সবশেষ গত সোমবার কাবুলে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ওয়াং ইউয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন কাতারে তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের উপপ্রধান আবদুল সালাম হানাফি।
ওই বৈঠক সম্পর্কে তালেবানের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাইম বলেন, চীনা রাষ্ট্রদূত ও সালাম হানাফি দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত ওয়াং আফগানিস্তানে চীনের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত