আন্দোলন কখনো বৃথা যায় না: গয়েশ্বর

ধড়পাকড় করে সরকারের পতন ঠেকানো যাবে না করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সরকার যখন দুর্বল হয়ে পড়ে তখন বিরোধী দলকে দুর্বল করার জন্য মানসিকভাবে, নেতা-কর্মীদেরকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে দুর্বল করার জন্য তারা মাঝে মধ্যে এরকম হাওয়া দেবে। তবে আমরা এখন বলব একটাই কথা- সব লোক জেলে যাক, তারপরেও সরকারের পতন ঠেকিয়ে রাখার কোনো সুযোগ নাই। বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন বলেন, আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, আমরা আন্দোলন করছি, আমাদের আন্দোলন করার অভিজ্ঞতা আছে। আন্দোলনে শিরোপা অর্জনেরও খালেদা জিয়ার সুনাম আছে। আর আন্দোলন কখনো বৃথা যায় না। কোনো আন্দোলন দীর্ঘস্থায়ী, কোনো আন্দোলন হয় স্বল্পক্ষনের জন্য। বিএনপি আন্দোলন করতে পারে ২০১৩ সালে আন্দোলন দেখেছেন, বিএনপি আন্দোলনে করতে পারে ২০১৫ সালে দেখেছেন। সামনে এমন আন্দোলন দেখবেন আর সরকারের পক্ষে দাঁড়িয়ে কথা বলার আপনাদের সুযোগ থাকবে না।
তিনি বলেন, একমাত্র বেগম খালেদা জিয়া যিনি আদালত থেকে জামিন পান না। মার্ডার কেইসের আসামী, যাবজ্জীবনের আসামী, ফাঁসির আসামীও এই আদালত থেকে জামিন পাচ্ছে, অহরহ পাচ্ছে, প্রতিদিন পাচ্ছে। সুতরাং আদালতের কাছে এমন কোনো আইন নেই যে আইনের বলে বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়া যায় না। এটা আমি একদম চ্যালেঞ্জ করে বলছি। এটা একান্ত আদালতের ইচ্ছার ব্যাপার। সকলের ব্যাপারে জামিন হয়, খালেদা জিয়ার জামিনের ব্যাপারে আদালতকে কেনো থামিয়ে রেখে যেটা আপনাকে বুঝতে হবে, আমাকেও বুঝতে হবে। অর্থাৎ এসকে সিনহার প্রধান বিচারপতির ওপর যে খড়গ নেমেছিল তারপরে সকল বিচারপতিরই একটা আশঙ্কা-আতঙ্কের মধ্যে তাদের বিবেক বন্ধক, তারা আইনের বই ঘেটে সুষ্ঠু বিচার করার ক্ষেত্রে তাদের প্রতিবন্ধকতা আছে।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, জনগণের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আন্দোলনের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নেত্রী। সুতরাং তার মুক্তি আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়েই হবে। এর বিকল্প আমাদের কাছে কোনো পথ খোলা নেই। হ্যাঁ আমরা চেষ্টা করছি। তবে আমার মনে হচ্ছে সেই চেষ্টা যথেষ্ট না। এখন একটাই চেষ্টা করা দরকার-এই সরকারের পতন। তাদের পতন হলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে, গণতন্ত্র মুক্তি পাবে, অন্যায়-অবিচার থেকে মানুষ মুক্তি পাবে।
তিনি আরও বলেন, এখন আমার মনে হয়, প্রতিদিন সরকারের যে দেয়া ইস্যু, এই ইস্যু আমাদেরকে উপেক্ষা করা ভালো, এই ইস্যুতে আমাদেরকে কান না দেয়া ভালো। আমাদের একটাই ইস্যু্- আমরা জাস্টিস চাই, আমরা গণতন্ত্র চাই, গণতন্ত্রের বাধা কে? বর্তমান সরকার শেখ হাসিনা, তার পতনের মধ্য দিয়েই খালেদা জিয়ার মুক্তি আজকে সম্ভব। এর বাইরে অন্য কোনো পন্থায় নয়।
এসময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ; এছাড়া নাজমুন নাহার বেবী, নেওয়াজ হালিমা আরলি, ইয়াসমীন আরা হক, হেলেন জেরিন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত