শাহজালাল বিমানবন্দরে ১২টি আরটি- পিসিআর ল্যাব স্থাপন
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরীক্ষামূলকভাবে করোনার পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে ৪৬ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছেড়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট। বিমানবন্দরে যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পর বোর্ডিং করা হয়। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফ্লাইটটি ছেড়ে যায়। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তৌহিদ-উল আহসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শাহজালাল বিমানবন্দরে ১২টি আরটি- পিসিআর ল্যাব স্থাপনের কাজ শরু করেছে ৬টি অনুমোদিত কোম্পানী।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এমিরেটসের একটি ফ্লাইট সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পরীক্ষামূলকভাবে ৪৬ যাত্রীকে বুধবার করোনা পরীক্ষা করে আমিরাতে পাঠানো হয়েছে। দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি অবতরণের পর আমিরাত কর্তৃপক্ষ আবার আরটি-পিসিআর পরীক্ষাগারের মাধ্যমে এই যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা করবে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালের দোতলায় স্বাস্থ্য বিভাগের সামনে ৪৬ যাত্রীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা সংগ্রহের পর পার্কিং জোনের মোবাইল পরীক্ষাগারে এসব নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শাহরিয়ার সাজ্জাদ সন্ধ্যায় বলেন, এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে ৪৬ যাত্রীকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাঠানো হয়েছে। ৫০ জনের মধ্যে ৪ জন সময়মতো বিমানবন্দরে এসে উপস্থিত হতে পারেননি। করোনা পরীক্ষায় ৪৬ জনের নেগেটিভ ফল এসেছে।
৬ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা শনাক্তে পিসিআর পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছানোর পর আবার এই যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা করা হবে। তখনো ফল একই হলে তাঁরা দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ পাবেন। তবে সেখানে ওই ৪৬ যাত্রীর মধ্যে কারও করোনা শনাক্ত হলে তাঁদের আইসোলেশন, কোয়ারেন্টিনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ।
১৫ সেপ্টেম্বর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার আরটি-পিসিআর পরীক্ষাগার বসাতে সাত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ছয়টি প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) জমা দেয়। এসব এসওপি যাচাই করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাঠানো হয়। তবে এর জবাব সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ এখনো দেয়নি।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত