ঘরে ঘরে ঠান্ডা জ্বর, দুশ্চিন্তায় আছে মানুষজন
সোহেল আহমেদ ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: ঘরে ঘরে জ্বর,বাড়ছে আতঙ্ক। কয়েকদিন ধরে একটি বাচ্চার বয়স ৫ বছর। সর্দি-কাশি জ্বরের সাথে শ্বাসকষ্টে ভুগছে। গত ক’দিন ধরে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। ডাক্তারের পরামর্শে করোনা টেস্ট করানো হয়েছে। তবে টেস্টে করোনা শনাক্ত হয়নি। ডেঙ্গুও নেগেটিভ। এ অবস্থায় কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না তার পিতা সদর উপজেলার দেওভোগ পালপাড়া এলাকার জামিল হোসেন। জ্বর না কমায় বেশ কিছু পরীক্ষা -নিরীক্ষাও করানো হয়েছে। বর্তমানে ডাক্তার বলছেন, টাইফয়েডের লক্ষণ। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এরই মধ্যে চলে গেছে বড় অঙ্কের অর্থ। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু কম হলেও বেড়েছে জ্বরের প্রকোপ। এখন মহানগরী ও শহরতলীতে বলা চলে এক প্রকার ঘরে ঘরে জ্বর। বেশির ভাগ বাড়িতে একাধিক ব্যক্তি জ্বরে আক্রান্ত।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ও হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, এখন আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়। ঠান্ডা-জ্বর একটু হবেই। চিন্তার কোন কারণ নেই। তবে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। জ্বর হলে ঘরের ভেতরেই মাস্ক পরে থাকাটা সবচেয়ে নিরাপদ। ঘরে একজনের হলে সবাই আক্রান্ত হবে। ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। জ্বর বেশিদিন হলে করোনা টেস্ট করিয়ে নেয়াটা উত্তম।
জানা গেছে, অধিকাংশ বাড়িতে জ্বর থাকলেও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় অনেকেই হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার হাসপাতালের বহির্বিভাগে গিয়েও চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে তথ্য মিলেছে। এ কারণে হাসপাতালে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধসহ অ্যান্টিবায়োটিকের চাহিদা ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন শতাধিক রোগী আসছেন নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত