সিরিয়ায় শান্তি নির্ভর করছে তুরস্ক-রাশিয়া সম্পর্কের ওপর
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান বলেছেন, রাশিয়া-তুরস্কের সম্পর্কের ওপর সিরিয়ার শান্তি নির্ভর করছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তুর্কি প্রেসিডেন্ট এই মন্তব্য করেন। তুরস্কের স্থানীয় গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান বুধবার দক্ষিণ রাশিয়ার পর্যটন নগরি শোচিতে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরদোগান সিরিয়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে রাশিয়া-তুরস্ক সম্পর্কের ওপর জোর দেন।
এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, যদিও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট সঙ্গে বৈঠক সর্বদা সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়ের বাইরে হয় না, তবে দুই দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর সেই সমস্যা দ্রুত মিটিয়ে ফেলার সক্ষমতাও রয়েছে।
পুতিন ২০২০ সালে নাগোর্নো-কারবাখ শান্তি স্থাপনে মস্কো-আঙ্কারার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উদাহরণ দেন। এছাড়া রুশ প্রেসিডেন্ট তুরস্কের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টিও ফোকাস করেন। তিনি বলেন, রাশিয়ায় বর্তমান তুরস্কের বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ১.৫ বিলিয়ন আর তুরস্কে রাশিয়ার ৬.৫ বিলিয়ন।
সম্প্রতি জাতিসংঘের সাধারণ সম্মেলনে নিউ ইয়র্ক সফরে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। কিন্তু এরদোগানের এই প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দেন বাইডেন।
এই ঘটনার পর হতাশ ও ক্ষুদ্ধ এরদোগান রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে উদ্যোগী হন। এর অংশ হিসেবে তিনি রাশিয়া সফর করছেন।
এরদোগান ও পুতিন কিছু ক্ষেত্রে মিত্র হলেও সিরিয়ায় তুরস্ক প্রেসিডেন্ট আসাদ বিরোধীদের সমর্থন দিচ্ছে। অন্যদিকে তুরস্কের মিত্র রাশিয়া বাশার আল আসাদ সরকারকে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে ভ্লাদিমির পুতিন আসাদ সরকারকে সামরিক সহায়তা প্রদান করছে।
তবে সিরিয়ায় রাশিয়া ও তুরস্ক পরস্পরবিরোধী গ্রুপকে সমর্থন দিলেও সিরিয়ায় উত্তরে এই দুই দেশের মধ্যস্থতায় অনেক যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে ২০১৮ সালের ইদলিবের যুদ্ধবিরতিও রয়েছে।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত