করোনার বিরুদ্ধে নতুন অস্ত্র ‘মলনুপিরাভির’ বড়ি
করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় আশা দেখাচ্ছে ‘মলনুপিরাভির’ নামের বড়ি। এই ওষুধটি করোনায় সংক্রমিত রোগীর মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি অর্ধেক কমিয়ে দেয় বলে দাবি করা হয়েছে। মলনুপিরাভির বড়ির কার্যকারিতা নিয়ে এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। খবর বিবিসির।
মার্কিন ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘মার্ক’ মলনুপিরাভিরের কার্যকারিতা নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই করোনার ওষুধ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য আবেদন করবে তারা।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসনের (এফডিএ) অনুমোদন পেলে মলনুপিরাভির করোনা চিকিৎসায় প্রথম খাওয়ার অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। মার্ক জানিয়েছে, মলনুপিরাভির মূলত ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল। পরে দেখা যায়, এটি
মলনুপিরাভিরের কার্যকারিতা যাচাইয়ে ৭৭৫ জন রোগীর ওপরে একটি গবেষণা চালায় মার্ক। সেখানে দেখা যায়, যেসব রোগীর চিকিৎসায় মলনুপিরাভির ব্যবহার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে মাত্র ৭ দশমিক ৩ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। আর মলনুপিরাভির গ্রহণ করা কোনো করোনা রোগীই মারা যাননি।
নতুন এ ওষুধের সফলতার খবর অত্যন্ত খুশির বলে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যালোচনার আগে পর্যন্ত সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
চলতি বছরেই এক কোটি মলনুপিরাভির উৎপাদনের আশা করছে মার্ক। এফডিএর অনুমোদন পেলে মার্কের কাছ থেকে ১২০ কোটি ডলারের মলনুপিরাভির কেনার জন্য রাজি হয়েছে মার্কিন সরকার।
এদিকে শুধু মার্কই না, করোনা চিকিৎসায় খাওয়ার অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নিয়ে কাজ করছে আরও অনেক প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিযোগিতায় মার্কের পরই এগিয়ে রয়েছে ফাইজার ও সুইস প্রতিষ্ঠান রোচ।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত