চীনে অভিবাসনে নিষেধাজ্ঞা আরোপে বিশৃঙখলা ছড়িয়ে পড়ার আশংকা

| আপডেট :  ০৬ অক্টোবর ২০২১, ০৮:৫০  | প্রকাশিত :  ০৬ অক্টোবর ২০২১, ০৮:৫০

একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে কানাডাভিত্তিক একটি থিংক ট্যাঙ্ক জানিয়েছে, চীনের সরকার কর্তৃক প্রণীত কঠোর বিধিনিষেধ গুলির কারণে চীনের গ্রামীণ অঞ্চল গুলোতে লক্ষ লক্ষ মানুষের মধ্যে সামাজিক অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়তে পারে। ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর রাইট অ্যান্ড সোসাইটি (আইএফএফআরএএস) এক প্রতিবেদনে বলেছে, দেশটিতে যে হুকো সিস্টেম রয়েছে তাতে চীনের বড় শহরগুলির বাসিন্দাদের পেশাদারিত্ব ও তাদের জীবন যাপনের ভাবমূর্তি বজায় রাখার জন্য এই ডিজাইন করা হয়েছিল।

চীন তাদের অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের জন্য কুখ্যাত “হুকু” পদ্ধতি চালু করেছে। এ পদ্ধতিতে চীনা সিস্টেমের অধীনে শহুরে এবং গ্রামীণ অধিবাসীদের মধ্যে বৈষম্য তৈরী হয়। কারণ একজন ব্যক্তির গ্রামীণ “হুকু” থেকে শহুরে “হুকু” তে স্থানান্তর করার জন্য একটি পারমিট প্রয়োজন। সেই পারমিট পাওয়াটা খুবই কঠিন, এমনকি অসম্ভব। প্রাথমিকভাবে, মানুষ অবৈধভাবে দেশান্তরিত হতো এবং সেখান থেকে পালাতে চাইলে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির সম্মুখীন হতে হতো।

এই সিস্টেমে মহামারী দুর্ভিক্ষের পর গ্রামাঞ্চলীয় অধিবাসীরা প্রান্তিক হয়ে যায়, তবে শহুরে নাগরিকরা সামাজিক-অর্থনৈতিক সুবিধা ভোগ করে। কৃষকদের করের ক্ষেত্রে তিনগুণ বেশি বেতন দিতে হয়, তবে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং জীবনযাত্রার মান কম থাকে। হুকু সিস্টেমটি মূলত একটি জাতিগোষ্ঠী তৈরি করেছে যা পুরোপুরি চীনা সমাজকে নিয়ন্ত্রণ করে।

আইএফএফআরএএস এর এক প্রতিবেদন বলছে এই অভিবাসন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকার কারণে চীনের বাড়িতে বাড়িতে লোকেরা বেকারত্বের মুখোমুখি হয়েছিল।

এদিকে অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে দ্য চায়না স্টোরি অব দ্য অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার অন চায়না ইন দ্য ওয়ার্ল্ড -এর ব্লগে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন উদ্ধৃত করা হয়েছে যে, যেসব অভিবাসীরা স্থানীয় হুকু পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী, তাদের প্রত্যাশা এবং বাস্তবতার মধ্যে একটি অমিল হতে পারে। শুধু তাই না এটি সম্ভাব্য সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত