এসপিসি, ইভ্যালি, রিং আইডির ফাঁদে পড়ে যুবসমাজের কোটি টাকা উধাও
খাজা আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া প্রতিনিধি: বাংলাদেশে করোনা কালিন লকডাউনে ঘরে বসে স্মার্টফোনে বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবে এসপিসি,ইভ্যালি এবং রিং আইডিকে বেছে নিয়েছেন দেশের লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক ও ছাত্র ছাত্রীরা। এর মধ্যে তুলনামূলক ভাবে SPC world express Ltd এর দিকে একটু বেশি ই ঝুকেছিল সাধারণ মানুষ। তার অন্যতম কারণ হলো SPC world express Ltd এর এমডি সহ ছয়জনকে DB পুলিশ গ্রেফতার করে এবং কোম্পানির সার্ভার সহ সব কিছু নিয়ে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন এবং এর প্রাই সারে তিন মাস পর মহামান্য আদালত এর রায়ে তারা জাবিন পান এবং কোম্পানির সমস্ত কার্যক্রম পূণরায় চালু হয়।
যার ফলে এসপিসি র প্রতি মানুষের বিশ্বাস বেড়ে যায় আর ইনভেস্ট করা দিগুণ হয়ে যায়। পাশাপাশি শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় মাশরাফি বিন মর্তুজা কে যা সাধারণ মানুষের জন্য আরো উৎসাহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সবমিলিয়ে এসপিসি তে প্রাই ৭০/৮০ লক্ষ গ্রাহক হয়ে যায়।
প্রতিদিন বিভিন্ন পন্যের বিজ্ঞাপন দেখে গ্রাহকেরা যে ইনকাম করতো, কোম্পানি পেমেন্ট করবে বলে দুইটা তারিখ দিয়ে পরে বিভিন্ন কারনে তারিখ পরিবর্তন করে এবং কোম্পানির দেয়া তৃতীয় তারিখে পেমেন্ট পাওয়ার খুবই সম্ভাবনা ছিল বলে জানিয়েছেন মোঃ ইসমাইল শরীফ নামের এসপিসির একজন স্টার গ্রাহক। কিন্তু সেই দিনই এসপিসির এমডি আল-আমীন প্রধানকে আবার গ্রেফতার করা হয়। যারফলে এসপিসির কোন গ্রাহক এখনো পেমেন্ট পায়নি। সাধারণ গ্রাহকদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, এসপিসি,ইভ্যালি ও রিং আইডির ফাঁদে পড়ে আশুগঞ্জ উপজেলার শত শত যুবক লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছে মোটা অংকের আয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতি আইডি ৭০০ করে একেকজনের প্রায় ১৫০/২০০ করে।
ভুক্ত ভুগিদের সাথে কয়া বলে জানাযায় হয়তোবা এইসব কোম্পানির এমডি সি ই ও সহ অনেকেই শাস্তি পাবে, আদালত তাদের বিচার করবে। কিন্তু সাধারণ মানুষের এই ক্ষতিপূরণ হবেনা। তাই সাধারণ গ্রাহকদের একটাই দাবি সরকারের হস্তক্ষেপে এইসব কোম্পানি গুলোকে নজরদারিতে রেখে সাধারণ গ্রাহকদের টাকা ফিরত পাওয়ার ব্যাবস্থা যেন সরকার করেন।
প্রয়োজনে সরকারি কর্মকর্তা দিয়ে পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে হলেও সাধারণ গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি বিনীত অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত