পটুয়াখালীতে নৌকার মনোনয়ন পেলো রাজাকার পুত্র ও সাবেক বিএনপি নেতা

| আপডেট :  ২৩ অক্টোবর ২০২১, ১০:১২  | প্রকাশিত :  ২৩ অক্টোবর ২০২১, ১০:১২

ইমরান হোসেন,পটুয়াখালী থেকে: পটুয়াখালীতে ৩য় ধাপের নির্বাচনে দেউলী-সুবিদখালী ইউনিয়নে নৌকার মনোনয়ন নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। রাজাকার পরিবারের সন্তান ও সাবেক উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ অনোয়ার হোসেন খানকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়ায় তিব্র চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে তৃনমূল আ’লীগের নেতা কর্মীদের মাঝে। তাদের দাবি ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করেনি মনোনয়ন বোর্ড।

শুক্রবার (২২অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রার্থী চূড়ান্ত হয়। পরে দলটির দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়। ওই চুড়ান্ত তালিকায় পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের আওয়ামিলীগে নৌকার প্রার্থী চুড়ান্ত করা হয়েছে। এতে ওই উপজেলার দেউলী-সুবিদখালী ইউনিয়নে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন রাজাকার পরিবারের সন্তান ও বিএপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ অনোয়ার হোসেন খান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক আওয়ামিলীগের নেতা বলেন, ২০০২ সালের জোট সরকারের আমলে তৎকালিন বিএনপির মন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ ভাজন ছিলো। ১৯৯৭ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছিলেন। তার আপন চাচা মৃত অন্নাত খান স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতাকারী তৎকালীন শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলো ও তার পিতা মৃত জেন্নাত আলী খান ছিলেন শান্তি কমিটির একজন সক্রিয় সদস্য ছিলো। এর প্রমাণ পাওয়া যায় এছাড়াও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামিলীগ প্রার্থীর বিরোধীতা করেছেন।

নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী দেউলী-সুবিদখালী ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি মো:মনিরুজ্জামান খান বলেন, সে বিএনপির নেতা ছিলো। আগে কখনও আ’লীগ করে নাই। সদ্য উপজেলা আ’লীগের সহ সভাপতি হয়েছেন। কিভাবে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন আমার জানা নাই।

উপজেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক জমীম উদ্দিন জুয়েল বেপারী বলেন, সে আগে বিএনপি নেতা ছিলো। আমরা উপজেলা আ’লীগের সদস্য হিসেবে নাম সুপারিশ করছিলাম এতে তারা সহ-সভাপতি করছে। কেন্দ্র থেকে কিভাবে মনোনয়ন দিলো এ ব্যাপারে আমার কোন মন্তব্য করতে চাইনা।

উপজেলা আ’লীগ সভাপতি গাজী আতাহার উদ্দিন আহমেদ বলেন, তারা জোয়ারে ঘা ভাসিয়েই চলেছে। তারা কখনই আ’লীগে ছিল না, আগে বিএনপি করতো। তার বাবা রাজাকার ছিলো তারা কিভাবে নৌকা পেয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে সে উপজেলা আওয়ামিলীগে সহ-সভাপতি এর সুবাদে দলীয় ফরম কেনার সুযোগ পেয়েছে।
তার বাবা ১৯৭১ সালে শান্তি কমিটির সক্রিয় সদস্য ছিলো এবং তার চাচা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলো সত্যি।

পটুয়াখালী জেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর হোসেন এর মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত