বেশি বয়সে মা হতে চাইলে দেখা দিতে পারে যে ৫ ঝুঁকি
বর্তমানের নারীরা আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। হুট করেই বিয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে যেতে নারাজ তারা। অনেকেই লেখাপড়া শেষ করে, অর্থনৈতিকভাবে সাবলীল হয়ে বিয়ে করতে চান। এতে সময় চলে যায় অনেকটাই। আবার অনেকেই আছেন বিয়ের পরবর্তী কয়েকটি বছর একসঙ্গে কাটিয়ে তারপর সন্তান নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এভাবে সন্তান নিতে নিতে নারীর বয়স ৩০ পার হয়ে যাচ্ছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ৩০-৩৫ বছরের পর সন্তান নিতে চাইলে কিছু ঝুঁকির মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে বিয়ে এবং সন্তান গ্রহণের পরিকল্পনা করা উচিৎ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাহলে জেনে নেয়া যাক সে বিষয়গুলো-
১) বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নারীদের সন্তান ধারণ ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২) ৩৫ বছর বয়সের পর কিছু সমস্যা, যেমন- গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ, প্রসব-পূর্ব রক্তক্ষরণ, বাচ্চা নষ্ট হওয়ার অধিকতর ঝুঁকি ও প্রসবকালীন জটিলতা বেড়ে যায়।
৩) জন্মগত ত্রুটিযুক্ত সন্তানের জন্মদান আশঙ্কা বেড়ে যায়।
৪) বিভিন্ন জটিলতার পরিণতিতে অপরিপক্ব শিশুর জন্মহার যেমন বেড়ে যায়, সেই সঙ্গে স্বাভাবিক প্রসবের পরিবর্তে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশুর জন্মহারও বেড়ে যায় অনেকগুণ।
৫) প্রথম সন্তান হওয়ার পর দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার আগে দুই বা তিন বছর বিরতি দিতে হয়। প্রথম সন্তান নিতে নিতে বয়স ৩০-৩৫ পেরিয়ে গেলে, সে সুযোগটা আর থাকে না।
পঁয়ত্রিশের পর মা হতে চাইলে প্রস্তুতি হিসেবে ৩০ থেকেই শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য নিয়মিত চেকআপ ও ডায়েটে থাকতে হবে। প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই গর্ভধারণ করা উচিত।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত