অসহায়ের পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ নাই!
ইমরান হোসেন, পটুয়াখালী থেকে: ঈদে করোনা কালেও পাননি কোন সহযগিতা দিন কাটছে খুব কষ্টে অসহায়ের পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই। তাদের জীবন কাটছে খুব দুঃখ দুর্দশায়। করোনার টাকা সহ অন্য কোন ধরনের সহযোগিতা পায়নি তারা। ঈদে অনেকেই সরকারি সহযোগিতা পেয়েছে তারা পাইনি কিছু।
একটি ঘরের জন্য গত ২-৩ বছর ধরে মেম্বার, চেয়ারম্যান,চৌকিদার ও স্থানীয় আঃলীগ নেতা-কর্মীদের সাথে অনেক বার কথা বলেও হয়নি কোন শুরহা।
২০০৭ সালে সিডর বন্নার পর একটি ঘর পেয়েছিলো। সে ঘর থেকে এখন বৃষ্টি এলেই অঝোরে পানি পরে। ঐ ঘরে এখন থাকার মতো সাধ্য নাই।
পটুয়াখালীর গলাচিপা থানার আমখোলা ইউনিয়নের চারআনি বাউরিয়া গ্রামের ফরেজ আলী ও জেল ভানু বলেন, আমরা সরকার থেকে তেমন কোন সহযোগিতা পাইনা। পাইনা কোন বরাদ্ধ। ১০-১২ বছর আগে একটা ঘর পাইছি তা দিয়াও এখন পানি পরে।
তারা আরো বলেন, সরকার যদি আমাগো যদি একটা ঘর দেয় তাহলে আমারা ঘরে থাকতে পারমু। আমাগো ঘর উঠানোর মতো টাকা পয়সা নাই।
ফরেজ আলীর একমাত্র ছেলে মোঃ জামাল মিয়া তিনি দীর্ঘদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণে কোন কাজ করতে পারেনা।
স্থানীয়রা বলেন, তারা খুব অসহায় তাদের যদি সরকার একটা ঘর বরাদ্ধ দেয় তাহলে তারা খুব উপকৃত হবে। এখন বর্ষকাল রাতে বৃষ্টি হলেই কাথা,বলিশ ভিজে একাকার হয়ে যায়। এই অবস্থায় তারা নতুন ঘর তৈরি বা ঐ পুরান ঘর মেরামত করার মতো কোন অর্থ নেই। এই পরিপেক্ষিতে সরকারের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, এখন যে ঘরের জন্য নাম দিতেছে এই বরাদ্ধে তারা ঘর পাবেনা। পরবর্তী সময় যোগাযোগ করতে বলেন।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত