খেলতে গিয়ে চোখে আঘাত, বাবাকে গ্রেপ্তার করায় কাঁদল শিশু
বরগুনার আমতলীতে খেলতে গিয়ে দুই শিশুর মধ্যে ধস্তাধস্তিতে হামিম নামে এক শিশুর চোখে আঘাত লেগে আহত হওয়ার ঘটনার মামলায় অপর শিশু আলিফের পিতাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এদিকে শিশু আলিফ এবং তার বাবার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ছবিতে দেখা যায় হাতকড়া পরিহিত বাবাকে জড়িয়ে ধরে আছে আলিফ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আমতলী পৌরসভার সবুজবাগ এলাকার আবু হানিফের পুত্র হামিম ও একই এলাকার বাহাদুর খানের পুত্র মো. আলিফ। তাদের বাসা পাশাপাশি হওয়ায় তারা সারাক্ষণ এক সাথেই থাকে এবং খেলাধুলা করে। পারিবারিকভাবেও তাদের দুই পরিবারের মধ্যে রয়েছে ঘনিষ্ঠতা। এক মাস পূর্বে বাড়ির উঠানে বসে খেলছিল হামিম ও আলিফ। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হলে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এতে হামিমের চোখে আঘাত লাগে। পরে আহত আলিফের পরিবার আহত শিশু হামিমের চিকিৎসা করায় এবং চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ভার গ্রহণ করে।
এ ঘটনার এক মাস পরে গত ১ নভেম্বর (সোমবার) আহত হামিমের মা মাইসুরা বেগম বাদী হয়ে অপর আলিফের বাবা বাহাদুর খানসহ আরো চার জনকে আসামি করে মামলা করেন। ১৫ নভেম্বর (সোমবার) বাহাদুর খান আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আলিফের চাচা এইচএম জুয়েল মুঠোফোনে বলেন, সামান্য একটা বিষয়টা নিয়ে তারা আদালত পর্যন্ত গেছে। স্থানীয়রা শালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করার প্রস্তাব দিয়েছিল। আমরা আহত হামিমের চিকিৎসার ব্যয়ভার গ্রহণ করেছি। এখন ক্ষতিপূরণ দিতেও চেয়েছিলাম। তবুও তারা মামলা উঠিয়ে নেয়নি।
আমতলী পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোয়াজ্জেম হোসেন ফরহাদ মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি শুরু থেকেই আমি জানি। তবে মামলা পর্যন্ত যাওয়া ঠিক হয়নি। অনেকে হামিমের পরিবারকে মীমাংসার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু তারা মামলা উঠায়নি।
এ বিষয়ে কথা বলতে আহত শিশু হামিমের পরিবারের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা হলেও তারা ওই ঘটনা ও মামলার বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত