সেই রাসেলের রিমান্ড নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়া ক্রিকেটার মোস্তাফিজুর রহমানের ‘ভক্ত’ সেই রাসেলের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২১ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালত এ আদেশ দেন।
মিরপুর মডেল থানার নন জিআর শাখার কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম বিষয়টি জানান।
এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) সঞ্জীব কুমার সাহা রাসেলকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, ২০ নভেম্বর বিকেল ৫টার দিকে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান দলের মধ্যকার আন্তর্জাতিক দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচে পাকিস্তান দল ব্যাটিং করছিল। ১২ ওভার চলাকালীন সময় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটার মোস্তাফিজুর রহমান বোলিং করা সময় নর্দান স্ট্যান্ড দর্শক গ্যালারি থেকে রাসেল তার নিজের কাছে থাকা জাতীয় পতাকা গ্যালারির রেলিংয়ে পেঁচিয়ে বেঁধে তা বেয়ে নিচে নেমে মাঠে প্রবেশ করে। মাঠের মধ্যে সন্দেহজনকভাবে এদিক-সেদিক দৌঁড়াতে থাকে। দৌঁড়ানোর এক পর্যায়ে বিসিবির সিকিউরিটি কাজে নিয়োজিতদের বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হতে তারা দৌঁড়ে আসামিকে ধরে ফেলে এবং মাঠের বাইরে নিয়ে আসে।
আবেদনে আরও বলা হয়, রাসেলকে বিসিবি কর্তৃপক্ষ মিরপুর মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। তার এমন দুরভিসন্ধিমূলক ও সন্দেহভাজন কাজের জন্য তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। অসংলগ্ন এলোমেলো তথ্য প্রদান করে।
আবেদনে বলা হয়, শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম একটি প্রথম শ্রেণির কেপিআই এবং সংরক্ষিত এলাকা জানা স্বত্বেও রাসেল মাঠে অবৈধভাবে অনধিকার প্রবেশ করে কোন ধর্তব্য অপরাধ করার উদ্দেশ্যে সন্দেহজনকভাবে মাঠের মধ্যে প্রবেশ করেছে মর্মে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়। রাসেলের বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। রাসেল কেন মাঠের মধ্যে প্রবেশ করেছে, তার কারণ কী এবং ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে রাসেলের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
তবে আসামি পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। আদালত রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত