প্রথম গ্লোবাল ডিজএবিলিটি সামিট ২০১৮’র প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে নোয়াকের আলোচনা সভা
পাঁচটি জেলার প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও তাদের সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ন্যাশনাল ওপিডি এডভাইজারি কমিটি (নোয়াক) এর উদ্যোগে ২৩-তম জাতীয় ও ৩০-তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি দিবস উপলক্ষ্যে অদ্য ৫ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ রোজ রবিবার স্থানে “গ্লোবাল ডিজএবিলিটি সামিট ২০১৮ এর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ও বর্তমান অগ্রাধিকার ”শীর্ষক একটি আলোচনা সভা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার বাস্তবায়নের দাবিতে হোটেল লরিয়েল, বনানী, ঢাকা মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ড. মোঃ আনোয়ার উল্ল্যাহ, এফসিএমএ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (যুগ্ম সচিব), নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডিজ্যাবিলিটি এল্যায়েন্স অন এসডিজিস বাংলাদেশ এর কনভেনার ও সাইটসেভার্সের কান্ট্রি ডিরেক্টর অমৃতা রেজিনা রোজারিও। অনুষ্ঠানরে সভাপতত্বি করেন- নোয়াকের সভাপতি মহুয়া পাল। অনুষ্ঠানটির প্যানেলিস্ট আলোচক ছিলেন, আশরাফুন নাহার মিষ্টি, ডব্লিউডিডিএফ, সরদার এ. রাজ্জাক, চেয়ারম্যান, ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশ এবং হাসিবা হাসান জয়া, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য-এসডিএসএল। স্বাগতবক্তব্য পাঠ করেন- শ্রবণ প্রতিবন্ধী নারী সানজিদা হক র্স্বনা, এসডিএসএল, ধারণাপত্র পাঠ করেন ডাউন সিনড্রোম নারী জান্নাতুল নাঈম সুমাইয়া এবং সঞ্চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শারিরিক প্রতিবন্ধী নারী ফিরোজা খাতুন বাডো।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে লন্ডনে প্রথম গ্লোবাল ডিজএবিলিটি সামিট অনুষ্ঠিত হয়। বৈষম্য ও অপবাদ, একিভূত শিক্ষা, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও প্রযুক্তি- এই চারটি বিষয়কে প্রতিপাদ্য করে পুরো সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় । এ সামিটে ৬৭ টি দেশ থেকে ১২০০ ডেলিগেট অংশগ্রহণ করেন। মোট ১৭১ টি সরকারি সংস্থা, দাতাগোষ্ঠী, প্রাইভেট সংস্থা, ওপিডি ও সিএসও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৯৬৮ টি অঙ্গীকার করেন। বাংলাদেশ থেকেও এ সম্মেলনে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ৮টি অঙ্গীকার করেন। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত সামিটের দু’বছরের মধ্যে ২৫% অঙ্গীকার পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়েছে, ৬২% বাস্তবায়ন চলমান আছে, ১০% এর ক্ষেত্রে বিলম্বিত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, ২% এর ক্ষেত্রে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি এবং অবশিষ্ট ১% এর বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি ।
আলোচনা সভায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিগণ বলেন, ২০১৮ সালের সামিটের দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলো থেকে বাংলাদেশে অনেকগুলো প্রতিশ্রুতিগুলো অদ্যাবধী বাস্তবায়িত হয়নি। আলোচকগণ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কতৃক প্রদত্ত প্রতিশ্রুতিগুলোর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবি জানান ।
প্রধান অতিথি বলেন যে, প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নে সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে এক যোগে কাজ করতে হবে। তিনি তার বক্তব্যে সরকার ও ডিপিও গুলো সমন্বিত হয়ে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিশেষ অথিতি অমৃতা রোজারিও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সঠিক সংখ্যা নিরুপন, একীভ’ত ও কর্মসংস্থানের উপর জোর দেন। তিনি আরো বলেন আমরা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের অনুপস্থিতি ১.২ বিলিয়ন এউচ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
কর্মসূচি পালনে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে সাইটসেভার্স/ এডিডি ইন্টারন্যাশনাল এবং কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করে সাইটসেভার্স/ এডিডি ইন্টারন্যাশনাল এবং ইন্টারন্যাশনাল ডিজএবিলিটি এলায়েন্স (আইডিএ)। সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ডিএসএসবি), ব্লাইন্ড এডুকেশন এন্ড রিহেবিলিটেশন ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (বারডো), সোসাইটি অব দ্য ডেফ এন্ড সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ইউজার্স (এসডিএসএল) এবং মুক্তির সংগ্রাম প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা (এমএসপিইউএস)।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত