গর্ভবতী নারীকে হাসপাতালে পৌঁছে দিলো পুলিশ

| আপডেট :  ২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০৬:৪১  | প্রকাশিত :  ২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০৬:৪১

বাদল সাহা, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: প্রসব বেদনায় কাতর গৃহবধূ লুবনা খাতুন। গভীর রাতে হাসপাতালে নেয়ার জন্য স্বজনরা রাস্তায় বের হলেও নেয়ার মত নেই কোন পরিবহন। ঠিক তখনি ওই গর্ভবতী গৃহবধূকে পুলিশী গাড়ীতে হাসপাতালে পৌঁছে দিল টুঙ্গিপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক কামরুল ইসলাম। আর এমন মানবিক ঘটনা ঘটেছে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্নি ইউনিয়নের গজালিয়া গ্রামে।

আজ মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন গৃহবধূ লুবনা খাতুন।

গৃহবধূ লুবনা খাতুন টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গজালিয়া গ্রামের ইউসুফ হোসেনের স্ত্রী।

জানাগেছে, গভীর রাত ২ টার দিকে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ লুবনা খাতুন প্রসব যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়েন। এসময় পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে নেয়ার জন্য এলাকায় কোন ইজিবাইক বা ভ্যান পাচ্ছিলেন না। এমন অবস্থায় একটি গাড়ির জন্য প্রসবজনিত ব্যাথায় কাতর নারীসহ তার স্বজনরা রাস্তায় অপেক্ষা করছিলেন দেড় ঘন্টা ধরে।

তখন টুঙ্গিপাড়া থানার টহল কাজে নিয়োজিত ছিলেন উপ-পরিদর্শক কামরুল ইসলাম। গভীর রাতে রাস্তায় ওই নারী সহ কয়েকজনকে দেখে গাড়ি থামিয়ে তাদের সাথে কথা বলেন কামরুল ইসলাম। এসময় তিনি তখন জানতে পারেন গাড়ি না পাওয়ায় প্রসবজনিত ব্যাথায় আক্রান্ত গৃহবধূ লুবনা খাতুনকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারছেন না তার স্বজনরা। তখন তিনি পুলিশের গাড়িতে
প্রথমে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। গর্ভবতী নারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে পুলিশের গাড়িতেই টুঙ্গিপাড়া থেকে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি।

এরপর মঙ্গলবার সকালে লুবনা খাতুন একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান প্রসব করেন। বর্তমানে মা ও মেয়ে দুজনেই সুস্থ আছেন।

প্রসূতি মহিলার স্বামী ইউসুফ হোসেন বলেন, পুলিশের এই মহতী উদ্যোগের কারণে দুইটি প্রাণ রক্ষা পেয়েছে। আমাদের সংসারে হাসি ফুটেছে। এজন্য পুলিশের প্রতি আমরা বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা: অসিত কুমার মল্লিক বলেন, মঙ্গলবার ভোরে ঐ প্রসূতি মহিলা হাসপাতালে ভর্তি হন। কন্যা সন্তান প্রসব করার পরে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ রয়েছেন।

টুঙ্গিপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক কামরুল ইসলাম বলেন, রাস্তায় যখন ওই নারীসহ স্বজনদের চিন্তিত দেখি তখন সিন্দান্ত নেই তাদের হাসপাতালে পৌঁছে দিবো। তাদেরকে গাড়ীতে করে প্রথমে টুঙ্গিপাড়া হাসপাতালে ও পরে গাপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পৌঁছে দেই। মূলত মানবিক কারণে ও সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমি এই কাজটি করেছি।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত