গুরুদাসপুরে ৯ চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাতিল, নৌকা ২ ও বিদ্রোহী ৪ প্রার্থীর জয়

| আপডেট :  ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ০৫:৪১  | প্রকাশিত :  ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ০৫:৪১

আখলাকুজ্জামান, গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: পঞ্চমধাপে অনুষ্ঠিত নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নয়জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাতিল করা হয়েছে। মোট ২৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫ জানুয়ারী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এতে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রার্থী ২ জন ও বিদ্রোহী প্রার্থী ৪ জন বিজয়ী হয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রোববার নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নে ৬ জন প্রার্থীর ৩ জনই জামানত হারিয়েছেন। এ ইউনিয়নে মোট ২২ হাজার ৯৯২ ভোট কাষ্টিং হয়েছে। কাষ্টিং ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগের কম ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান (আনারস)। তিনি পেয়েছেন ৭০৯ ভোট, সতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মজিদ (টেলিফোন) ১২৬ ভোট এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রসুল (ঘোড়া) ১৩৪৮ ভোট পেলেও জামানত হারিয়েছেন। এ নির্বাচনে বিয়াঘাট ইউনিয়নে মোট ১৫ হাজার ১৫২ ভোট কাষ্টিং হয়। এ ইউনিয়নে ৮ প্রার্থীর ৪ জনই জামানত হারিয়েছেন। জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন- চশমা প্রতীকে ৫১ ভোট প্রাপ্ত (স্বতন্ত্র) আব্দুর রশিদ মৃধা, ইসলামিক আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতিকে ২৭১ ভোট প্রাপ্ত ফারুক হোসেন, টেলিফোন প্রতীকে ৪১৯ ভোট প্রাপ্ত শাহাদৎ হোসেন (স্বতন্ত্র) এবং ঘোড়া প্রতীকে সাহাবুদ্দীন (স্বতন্ত্র) ২২৯ ভোট পেলেও জামানত বাতিল হয়েছে। আবার চাপিলা ইউনিয়নের কাষ্টিং ভোট ২১ হাজার ৫২৮। এ ইউনিয়নের ৭ জন প্রার্থীর ২ জনের জামানত বাতিল হয়েছে। জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন- শাহজাহান আলী (ইসলামিক আন্দোলন বাংলাদেশ) হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৭২৩ এবং চশমা প্রতীক নিয়ে হেদায়েতুল্লাহ (স্বতন্ত্র) ৮১টি ভোট পাওয়া জামানত বাতিল হয়েছে।

অপরদিকে ইউপি নির্বাচনে ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে নৌকা ২ জন ও বিদ্রোহী প্রার্থী ৪ জন বিজয়ী হয়েছেন। এ নির্বাচনে উপজেলার ১নং নাজিরপুর ইউনিয়নে ইভিএম পদ্ধতির মাধ্যমে মোটরসাইকেল মার্কা প্রতিকের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আইয়ুব আলী ৯৩৪০ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি¦ শওকত রানা লাবু চশমা প্রতিকে পেয়েছেন ৭১৯২ ভোট এবং নৌকা প্রতিকের শরিফুল ইসলাম ৪২৩১ ভোট পেয়েছেন। ২নং বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদে মোটরসাইকেল মার্কা প্রতিকের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান সুজা ৫৬৪৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি¦ আবু ইউনুস আলী আনারস প্রতিকে পেয়েছেন ৩৪৪১ ভোট। এখানে নৌকার প্রার্থী মোজাম্মেল হক ২৮৮৯ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। ৩নং খুবজীপুর ইউনিয়ন পরিষদে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মো. মনিরুল ইসলাম দোলন ৫৫১৬ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মত ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি¦ আজগর হোসেন ঘোড়া প্রতিকে পেয়েছেন ৪৭৬৪ ভোট। ৪নং মশিন্দা ইউনিয়নে ঘোড়া মার্কা প্রতিকের বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ আব্দুল বারী ১০৮৪৬ ভোট পেয়ে বিজয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোস্তাফিজুর রহমান নৌকা প্রতিকে ৯০৮৯ ভোট পেয়েছেন। ৫নং ধারাবারিষা ইউনিয়নে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আব্দুল মতিন ১১২৪৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি¦ হাজেদা বেগম ঘোড়া প্রতিকে পেয়েছেন ৮৩৪৭ ভোট এবং ৬নং চাপিলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতিকের বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ মাহাবুবুর রহমান ৬৬৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি¦ ইয়াকুব আলী ঘোড়া প্রতিকে পেয়েছেন ৩৯৭৫ ভোট ও জাফর ইকবাল নয়ন আনারস প্রতিকে ৩৫৩৭ ভোট পেয়েছেন এবং নৌকা প্রতিকের আলাল উদ্দিন ভুট্টো ৩৩৪৩ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন।

নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস আলম জানান, নির্বাচনী বিধি মোতাবেক মোট কাষ্টিং ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগের কম পেলে প্রার্থীদের জামানত বাতিল হবে। নির্ধারিত কাষ্টিং ভোটের কম পেয়েছেন বলে ৯ চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাতিল হবে। উল্লেখ্য, উপজেলার ৬ ইউনিয়নে মোট ভোটার ১ লাখ ৪২ হাজার ৮৩। ভোট কাষ্ট হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৬৫৭। এর মধ্যে বৈধ ভোট ১ লাখ ৩০ হাজার ২২৬, বতিল হয়েছে ১ হাজার ৭৩৯ ভোট। গড় কাষ্টিংয়ের হার ৭৯ শতাংশ।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত