সংলাপে রাষ্ট্রপতির কাছে যে চার দফা প্রস্তাব পার্থর

| আপডেট :  ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:৫৮  | প্রকাশিত :  ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:৫৮

নির্বাচন কমিশন নিয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপ অংশ নেয় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সভাপতি ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থের নেতৃত্ব ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে ইসি গঠনে চার দফা প্রস্তাব দিয়েছে বিজেপি। সংলাপে বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়েও আলোচানা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দালিব রহমান পার্থ।

পার্থ বলেন, আমরা আইন প্রণয়নের কথা বলেছি। নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততা রাখার কথা বলেছি। আমরা বলেছি, দলীয় সরকারের অধীনে কোনোদিন কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। সার্চ কমিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি গঠনের বিষয়টিও অবান্তর। নির্বাচন কমিশন গঠন আইন না থাকায় সরকার নিজের পছন্দ অনুযায়ী সার্চ কমিটি ও কমিশন গঠনের সুযোগ পায়। এজন্যই আমরা আইন করার দাবি জানিয়েছি।

আন্দালিভ পার্থ আরও বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতিকে পদক্ষেপ নিতে বলেছি। অনেকেই বলেন, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা নেই। কিন্তু সংবিধানের ৪৮ (৫) ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি জনগণের পক্ষে তার মতামত মন্ত্রিপরিষদে পেশ করতে পারেন। রাষ্ট্রপতির ভূমিকা যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেজন্য তিনি এটি করতে পারেন।

নির্বাচন পরিচালনায় সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করার বিষয়ে ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, বাংলাদেশের যে কয়টি প্রতিষ্ঠান দেশ এবং বিদেশে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে তার মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অন্যতম। ফলে দেশের সেনাবাহিনীকে নির্বাচন পরিচালনায় সহযোগী শক্তি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে মনে করি।

পার্থ বলেন, সংলাপ শেষে আন্দালিভ রহমান পার্থ বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেছি।’ এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি কোনো আশ্বাস দিয়েছেন কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি এমন কিছু বলেননি।

খালেদা জিয়াকে দেশে বাইরে পাঠানোর বিষয়টি আইনি কাঠামো অনুযায়ী অনুমোদনযোগ্য কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইন সবার জন্য সমান নয়। নারীদের জন্য আইন একরকম, যারা ট্যাক্স দেন তাদের জন্য আইন একরকম, ভিআইপিদের জন্য আইন একরকম। ফলে শুধু আইনের কথা বললে হবে না। খালেদা জিয়ার পরিবার রাষ্ট্রপতিকে এ বিষয়ে বলতে পারে। তার পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি উদ্যোগ নিতে পারেন। তিনি আরও বলেন, সবকিছুই সরকারে সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে। সরকার আন্তরিক হলে সবই সম্ভব। মনে রাখতে হবে, খালেদা জিয়ার অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটলে রাজনীতির ওপর, রাষ্ট্রের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত