জানালা নেই, ভেতরে আলো-রোদ-বৃষ্টি প্রবেশ, এক বিস্ময়কর মসজিদ

| আপডেট :  ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ১০:০০  | প্রকাশিত :  ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ১০:০০

অহিদুর রহমান মানিক, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি: চোখ ধাঁধানো স্থাপত্যের জটিল সংমিশ্রণ আর দৃষ্টিনন্দন চেহারার এক অনন্য স্থাপনা লক্ষ্মীপুরের আস-সালাম জামে মসজিদ। যার অসংখ্য বৈশিষ্ট্যের অন্যতম হচ্ছে দোতলা মসজিদটিতে কোন জানালা নেই।

বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় অসংখ্য দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা ও স্থাপত্য আছে। যেগুলোর কোন কোনটি দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্ব ঐতিহ্যে স্থান পেয়েছে। ওই সকল স্থাপনার বেশিরভাগই পুরাকীর্তি এবং প্রাচীন মোঘল বা বৃটিশ আমলের তৈরি। যেগুলো নির্মাণ করেছিলেন প্রাচীন শাসক কিংবা রাজা-বাদশারা। বর্তমানেও দেশে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার স্থাপনা তৈরি হচ্ছে। কিন্ত সে তুলনায় মৌলিক শিল্পের সমন্বয়ে ব্যতিক্রম স্থাপনা হয়তো খুব বেশি না।

কিন্ত এমন স্বার্থপরতার আধুনিক যুগে চোখ ধাঁধানো স্থাপত্যের জটিল সংমিশ্রণ আর দৃষ্টিনন্দন চেহারার এক অনন্য স্থাপনা আস-সালাম জামে মসজিদ ও ইদগাহ সোসাইটি । যার অসংখ্য বৈশিষ্ট্যের অন্যতম হচ্ছে দোতলা মসজিদটিতে কোন জানালা নেই।

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছা ইউনিয়নের শেখের কেল্লা এলাকায় স্থাপিত এ স্থাপনাটি বাংলাদেশে নির্মিত স্থাপত্যের মধ্যে অন্যতম একটি বিরল স্থাপনা। বাংলাদেশি স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান আর্কি গ্রাউন্ড লিমিটেডের স্থপতি নবী নেওয়াজ খান শমীন ও তার দল মসজিদটির নকশা তৈরি করে।

বিরতিহীন কাজের পর ২০২১ সালের শেষের দিকে মসজিদটি মুসল্লিদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ১০ হাজার ৮শ বর্গফুটের দোতলা এ মসজিদের নির্মাণ ব্যয়ভার বহন করেছে রহিমা মমতাজ ও সাইফ সালাহউদ্দিন ট্রাস্ট। এটি আধুনিককালে লক্ষ্মীপুর জেলা ও বাংলাদেশে নির্মিত স্থাপত্যের মধ্যে অন্যতম দৃষ্টিনন্দন এক স্থাপনা। এমন দাবি আগত দর্শনার্থীদের।

অন্যদিকে এ মসজিদকে ঘিরে তৈরি হওয়া শিক্ষা কমপ্লেক্সের মধ্যে আস-সালাম হাফেজিয়া মাদরাসাটিকে হাফেজি ও ইংরেজি শিক্ষার সমন্বয়ে একটি আর্ন্তজাতিক মানের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হচ্ছে। সরজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত