নিয়োগ পেলেন ৩৬ হাজার শিক্ষক
সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের হাতে নিয়োগ ও সুপারিশপত্র তুলে দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এতে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এসময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা শিক্ষার মানে যে পরিবর্তন আনতে চাইছি, তাতে সব থেকে বড় ভূমিকা শিক্ষকের। তাই বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের আরও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এখন আমাদের দেশ প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়েছে। তাই শিক্ষকদের বলব প্রযুক্তিকে আরও দক্ষ হতে।
মন্ত্রী বলেন, প্রাক চাকরির যে প্রতিবেদন, তা এখনও চলমান। তবে করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে শর্তসাপেক্ষে এই শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। তবে অবশ্যই প্রত্যেককে নিরাপত্তা ছাড়পত্র দিতে হবে, নয়তো নিয়োগ স্থায়ী হবে না। বর্তমানে এটি শর্ত সাপেক্ষে নিয়োগ। এছাড়া বেশকিছু প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়নি। তবে শূন্য পদে তাদের নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, মানসম্মত শিক্ষার বড় একটি ধাপ হচ্ছে স্বচ্ছভাবে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া। আমরা এবার সরকারি-বেসরকারি স্কুলে সম্পূর্ণ স্বচ্ছভাবে শিক্ষক নিয়োগ দিতে সক্ষম হয়েছি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সব কার্যক্রম বিপর্যয়ের মধ্যে থাকলেও শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যাহত ছিল। সেই কারণে সারাদেশে একসঙ্গে সরকারি-বেসরকারি ৩৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে। তিনি বলেন, অনেক চড়াই-উৎরাইসহ আইনি জটিলতা পেরিয়ে একসঙ্গে ৩৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। নিয়োগ পাওয়ার পর সব শিক্ষকের দক্ষতা ও যোগ্যতা অর্জনে সেই মানসিকতা তৈরির আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বক্কর সিদ্দীক, মাদরাসা ও কারিগরি বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান অবস্থায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজার ৭৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে এই সুপারিশপত্র ডাউনলোড করবেন। সুপারিশপত্রে উল্লিখিত তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে প্রার্থীকে যোগদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত