বেগম খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানালো ‘ঢাকা কলেজ ছাত্রদল’

| আপডেট :  ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১:০৪  | প্রকাশিত :  ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭:২১

ক্যানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন কর্তৃক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ” মাদার অব ডেমোক্রেসীতে” ভূষিত হওয়ায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে ঢাকা কলেজ ছাত্রদল।

 

 

 

 

 



 

 

 

 

 

ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক পদপ্রার্থী স্লোগান মাষ্টার নামে খ্যাত মৃত্যুঞ্জয়ী ছাত্রনেতা মোঃ শাহিন রেজা শিশির বলেন, ১৯৭৫ সালের ২৫ শে জানুয়ারি সেখ মুজিবুর রহমান মাত্র ১১ মিনিটে সংসদে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী বিল পাস করে, এতে সকল রাজনৈতিক দল ও সকল সংবাদ পত্র বিলুপ্ত করা হয় এবং যার মাধ্যমে দেশের মানুষের রাজনৈতিক ও মৌলিক অধিকার হরন করা হয় ঘোষণা করেন বাকশাল নামে একটি রাজনৈতিক দল যে দলের চেয়ারম্যান নিজেই নিজেকে ঘোষণা করেন। ফলে রাষ্ট্রের সব ক্ষমতা তিনি ও তার পরিবার কুক্ষিগত করেন যা স্বাধীন জাতি হিসাবে এদেশের মুক্তিকামী জনতা একতান্ত্রিক ক্ষমতা গ্রহণের এ পদ্ধতিকে মেনে নিতে পারনি।

 

 

 

 

 



 

 

 

 

 

 

পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালের ২১সে এপ্রিল জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন এবং অবরুদ্ধ সকল সংবাদ পত্রের কন্ঠকে উম্মুক্ত করেন এক কথায় বাকশালী স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতি বাতিল করেন।

১৯৮১ সালে ৩০ মে জিয়াউর রহমান শহীদ হলে বিচারপতি আব্দুস সাত্তার মহামান্য রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ জেনারেল এরশাদ বিচারপতি আব্দুস সাত্তার কে ক্ষমতাচ্যুত করে নিজেই ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। দ্বিতীয় স্বৈরাচার হিসাবে আর্বিভাব হয় জেনারেল এরশাদ।

 

 

 

 

 

 



 

 

 

 

 

 

কিন্তু শহীদ জিয়াউর রহমানের দেখানো পথেই বেগম খালেদা জিয়া। শুরু হয় তার একাট্টা সংগ্রাম, অবশেষে তার আপোষহীন নেতৃত্বের কারণে দীর্ঘ আট বছর পর স্বৈরাচার এরশাদের পতন হয়। ১৯৯১ সালের ৬ অগাষ্ট বেগম খালেদা জিয়া সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংশোধীয় সরকার ব্যবস্থা চালু করেন। মূলত বেগম খালেদা জিয়া’র নেতৃত্বে স্বৈরাচার এরশাদ, মঈন উদ্দিন ও ফখরুদ্দিনের পতন হয়েছে। এখনো বেগম খালেদা জিয়া শ্রেষ্ঠ স্বৈরাচার হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করে বন্দি অবস্থায় আছেন।

 

 

 

 

 

 

 



 

 

 

 

 

 

গণতন্ত্রের জন্য বেগম খালেদা জিয়া সেই ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ থেকে আন্দোলন শুরু করেন এখনো আন্দোলনরত অবস্থায়ই আছেন। গণতান্ত্রিক এ সম্মান পাওয়া তার ন্যায্য অধিকার। ক্যানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন প্রতি রইলো “ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে “মাদার অব ডেমোক্রেসী” উপাধিতে ভূষিত করার জন্য। বীর মুক্তিযোদ্ধা বেগম খালেদা জিয়ার এ সম্মানে আমরা গর্বিত এবং আনন্দিত। এবং মাদার অব ডেমোক্রেসী নামে খ্যাত বেগম খালেদা জিয়া’র প্রতি রইলো ফুলেল শুভেচ্ছা।

 

 

 

 

 

 

 



 

 

 

 

 

 

 

ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ সামিম হাওলাদার বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এক আপোষহীন নেতৃত্ব, তিনি মাদার অব ডেমোক্রেসীতে ভূষিত হয়েছেন এজন্য প্রিয় নেত্রী প্রতি রইলো সংগ্রামী শুভেচ্ছা।

সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বলেন, দেশমাতার এ সম্মান বাংলাদেশের সম্মান কারণ তিনি বাংলাদেশের একমাত্র আপোষহীন এবং জনপ্রিয় নেত্রী।

 

 

 

 

 

 

 



 

 

 

 

 

 

ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী সাজ্জাদ হোসেন জেনিম বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র প্রতি রইলো লাল গোলাপের শুভেচ্ছা। তার এই সম্মান আমাদের গর্ব এবং আমাদের অত্যন্ত অহংকার ও আনন্দের বিষয়।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত