ইউক্রেন ইস্যুতে চীনকে তাইওয়ানের খোঁচা

| আপডেট :  ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০১:১৩  | প্রকাশিত :  ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০১:১৩

 

পশ্চিমাদের সঙ্গে চলমান সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী–নিয়ন্ত্রিত দোনেতস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে ‘স্বাধীন প্রজাতন্ত্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। একই সঙ্গে এ অঞ্চলে ‘শান্তিরক্ষী’ হিসেবে রুশ সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই ঘটনায় নিজ নিজ দেশের অবস্থান থেকে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। জাতিসংঘ ইউক্রেনের অঞ্চলের ওপর রাশিয়ার দাবিকে প্রত্যাখান করেছে।

বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি চীন তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখন্ড দাবি করে। ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিক্রিয়ায় আশা দেখছে তাইওয়ান। দেশটির প্রত্যাশা—ভবিষ্যতে চীন যদি তাইওয়ানের ভূখণ্ড দাবি করে, তাহলে জাতিসংঘ চীনের দাবিকে রাশিয়ার দাবির ন্যায় প্রত্যাখান করবে।

ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে চীনকে খোঁচা দিয়ে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র কোলাস জোতাকা তার ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে বলেন, ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার সামাজ্য দাবি প্রত্যাখান আশাব্যঞ্জক। আমরা তাইওয়ানিরা সেই দিনের অপেক্ষায়, যেদিন আমাদের দেশের ওপর চীনের সাম্রাজ্য দাবি প্রত্যাখান করা হবে।

এর আগে তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইউক্রেনের দুটি বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে রুশ সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তে গভীর দুঃখ এবং নিন্দা জানায়।

এদিকে মঙ্গলবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইউক্রেনের সঙ্গে তাইওয়ানের তুলনা করাকে প্রত্যাখান করেছে। এটাকে তারা ‘খণ্ডনযোগ্যহীন ঐতিহাসিক এবং আইনগত ঘটনা’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন। চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিশ্বে একটি মাত্র চীন এবং তাইওয়ান সেই চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র জানান, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি জাতিসংঘের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। একই সঙ্গে দেশটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সীমান্তের প্রতিও জাতিসংঘের সমর্থন রয়েছে। রাশিয়ার এমন উদ্যোগ জাতিসংঘ সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত