শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপবাদ, মমেক থেকে ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মিথ্যা অপবাদ দেওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) থেকে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হাসানকে তিনবছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া কলেজের দুই শিক্ষার্থীকে দুই বছরের, সাত শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার এবং আট শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে।
শনিবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ চিত্ত রঞ্জন দেবনাথ গণমাধ্যমক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ওই দিন সকালে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দেওয়ার পর বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিকদের লিখিতভাবে জানান মমেক কতৃপক্ষ।
ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত (২৩ ফেব্রুয়ারী) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল গেটের সামনে ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ এনে সার্জারী ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভের সত্যতা না পাওয়ায় এবং ডা.কালামের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ায় শিক্ষার্থী ফায়াদুর রহমান আকাশ, তামান্না তাসকিনকে দুই বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিস্কার করা হয়। এসময় তারা ছাত্রাবাসেও থাকতে পারবে না। মানববন্ধনে স্বেচ্ছায় অংশ গ্রহণের জন্য সুনীতি কুমার দাশ, সানবীম খান, মহিদুল হক, তানভীন হাসান, কাশফী তাবরীজ, বাপ্পু কর্মকার এবং সাখাওয়াত হোসেন সিফাতকে এক বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিস্কার করা হয়। এসময় তিনি ছাত্রাবাসেও থাকতে পারবে না।
এছাড়াও অনিচ্ছাকৃত ভাবে মিছিলে অংশ গ্রহণ করায় আটজনকে মুচলেকা দিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের যৌন হয়রানীর অভিযোগ এনে অপসারন দাবিতে আন্দোলনের বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ গত ২৪ ফেবব্রুয়ারী গাইনী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তাইয়্যুবা তানজিনকে প্রধান তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত