টিকটকে থেকে প্রেম, ময়মনসিংহে নেপালী তরুণী

| আপডেট :  ১৩ মার্চ ২০২২, ০১:০১  | প্রকাশিত :  ১৩ মার্চ ২০২২, ১২:৫৫

 

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: টিকটকে পরিচয়, সে পরিচয় থেকেই মন দেয়া নেয়া। এভাবেই কেটে যায় আড়াই বছর। পরে বিয়ের সিদ্ধান্ত, কিন্তু ভীনদেশি ছেলে বলে আপত্তি করে তরুণীর পরিবার। তবে, তাদের ভালবাসার কাছে টিকেনি কোন বাঁধা। অবশেষে প্রেমের টানে নেপালী বংশদুত তরুণী চলে এসেছেন ময়মনসিংহের গৌরীপুরে।

এমন ঘটনাই ঘটেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুরের সহনাটি ইউনিয়নের হতিহর গ্রামের পলাশ পালের সাথে। পলাশ পাল ওই এলাকার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নিতাই চন্দ্র পাল ও পূর্ণিমা রাণী পাল দম্পত্তির ছেলে।

প্রেমিকা অনুদেবী ভুজেল নেপালের বংশদুত। তার জন্ম ভারতের পশ্চিম বঙ্গের দার্জিলিং জেলার নকশালবাড়ি এলাকায়। অনুদেবীর বাবা ভারতে চাকরী করার সুবাদে সেখানেই বসবাস করতেন। তবে, দাদীর বাড়ি নেপালে।

গত ৭ মার্চ ওই তরুণী অনুদেবী ভুজেল পলাশ পালের হাত ধরে চলে আসেন বাংলাদেশে। পরে গত ১০ মার্চ পলাশের বড় বোন চিত্রনায়িকা জ্যোতিকা জ্যোতি ঢাকায় তাদের বিয়ের কাজ শেষ করেন। সেখান থেকে ১১ মার্চ ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বৌভাতের আয়োজন করে পলাশ পালের পরিবার।

শনিবার (১২ মার্চ) বৌভাতের দিন শুভেচ্ছা জানাতে ছুটে যান ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদসহ স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে পলাশ পাল বলেন, পেশাগত কারণে আমি গত ৬ বছর সিঙ্গাপুরের একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে করতাম। সেখানে টিকটকে পরিচয় হয় নেপালের অনুদেবী ভুজেলের সঙ্গে। সেও সিঙ্গাপুরের একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করতেন। সেই পরিচয় থেকেই আমাদের কথা বলা শুরু। এরপর আস্তে আস্তে আমাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক্য গড়ে উঠে। এভাবে আড়াই বছর প্রেম করার পর একসময় বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই। প্রথমে অনুদেবীর প্রথমে আপত্তি করলেও ভালবাসা দিয়েই সব কিছু জয় করে। পরে আমরা দেশে ফিরে বিয়ে করি। তবে, সবার কাছে আমি আশির্বাদ চাই। আমি যেন জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত অনুদেবী হাত ধরে রাখতে পারি।

অনুদেবী নেপাল, ভারত, বাংলা ভাষা ছাড়াও আরও বেশি কিছু ভাষায় কথা বলতে পারে। তাই, আমার পরিবারের সাথে সে খুব সহজেই মানিয়ে নিতে পারছে।

কনে অনুদেবী বলেন, সিঙ্গাপুরে একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকরী করার সময় টিকটকে পরিচয় হয় পলাম পালের সাথে। তখনই ওকে আমার খুব পছন্দ হয়। তাই, তাকেই জীবন সঙ্গী করে নিলাম। তাছাড়া, ওর বাবা মা অনেক ভাল। আমাকে ওরা আপন করে নিয়েছে। নিজের মেয়ের মতোই আমাকে আদর করে।

বরের কাকা রঞ্জিত কুমার পাল বলেন, অনুদেবীকে আমরা নিজের মেয়ের মতোই বরণ করে নিয়েছি। আশা করছি পরিবারের অভাব সে বুঝতে পারবে না।

অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, আমরা চার ভাই বোনের মধ্যে পলাশ সবার ছোট। অনুদেবীকে পছন্দের বিষয়টি আগে থেকেই আমাকে জানিয়েছল। পলাশ চেয়েছিল তাকে বিয়ে করবে, তাই হয়েছে এবং বিয়ের মাধ্যমে তাদের প্রেমের সফল পরিণয় ঘটেছে। নব দম্পত্তি যেন সুখে তাদের ভবিষ্যত জীবন কাঁটাতে পারেন। সে জন্য সবার কাছে আশীর্বাদ কামনা করেন।

পলাশের মা পূর্ণিমা রাণী পাল বলেন, আমার ছেলে তাকে পছন্দ করে বিয়ে করেছে। তাছাড়া, মেয়েও খুব ভাল। আমাদের সবাইকে অল্প সময়ের মাঝেই আপন করে নিয়েছে। তারা যদি সুখি হয়। তাহলে আমরাও খুশি। তার ছেলে ও ছেলের বউয়ের জন্য সবার কাছে আশীর্বাদ চেয়েছেন তিনি। #

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত