1.  প্রচ্ছদ
2.  স্পোর্টস
3.   চিলির জালে গোল উৎসব করলো ব্রাজিল

ল্যাটিন আমেরিকা অঞ্চলে অব্যাহত ব্রাজিলের সাফল্য। ঘরের মাঠে চিলিকে উড়িয়ে দিয়েছে সেলেকাওরা। এই ম্যাচের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো নিয়ন্ত্রণ ছিল স্বাগতিকদের হাতেই। ম্যাচে ব্রাজিল কোচ তিতে একাদশ সাজান ভিনিসিয়াস, নেইমার এবং অ্যান্থনিকে নিয়ে। আর আক্রমন ভাগের এই তিন তারকা কাঁপিয়ে দিয়েছে চিলিয়ানদের দুর্গ।

শুক্রবার ভোরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে চিলিকে তারা হারিয়েছে ৪-০ গোলে। ম্যাচের ৫৮ শতাংশ সময় নিজেদের পায়ে বল রাখে ব্রাজিল। গোমুখে তারা শট নেয় ১৮টি, যার ৯টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে চিলি ১০ শটের কেবল দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারে। ব্রাজিলের পক্ষে একটি করে গোল করেন নেইমার, ভিনিসিয়াস, কুতিনহো এবং রিচার্লিসন।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক ফুটবল উপহার দেয়া ব্রাজিলকে গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ৪৪ মিনিট। নেইমারকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ব্রাজিল এবং সেখান থেকে নেইমারই গোল করে এগিয়ে দেন ব্রাজিলকে।

প্রথম গোলের রেশ না কাটতেই দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় তিতের দল। দুই মিনিট পরই অ্যান্থনির অ্যাসিস্ট থেকে দারুণ ফিনিশিংয়ে ব্রাজিলের জার্সিতে প্রথম গোল করেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। বিরতি পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে থাকে ব্রাজিল।

বিরতির পরপরই একটি গোল পরিশোধ করে চিলির ভিদাল। কিন্তু সেটি ভিএআরে বাতিল হয়ে যায়। ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে অবিশ্বাস্য এক মিস করেন লুকাস পাকুয়েতা। একটি আক্রমণ থেকে শেষ মুহূর্তে বল আসে অ্যান্থনির পায়ে এবং অ্যান্থনি বলটি চিলির গোলকিপারকে বোকা বানিয়ে পোস্টে ঠেলে দেন যেখানে দৌড়ে আসছিলেন পাকুয়েতা। মাত্র এক হাত দুরত্ব থেকে তিনি এই বল জালে পাঠাতে পারেননি। পেছন থেকে চিলির এরকজন প্লেয়ার বলটি ক্লিয়ার করেন।

৬৯ মিনিটে এসে বক্সের ভেতর ফাউল করেন চিলি গোলরক্ষক ব্রাভো। পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। এরপর এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। ক্লদিও ব্রাভো, ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও গ্যারি মেডেল তিনজনকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। পরে স্পট কিক থেকে গোল করেন কুতিনহো।

ম্যাচের যোগ করা সময়ে ব্যবধান ৪-০ করেন রিচার্লিসন। ব্রুনো গুইমারেসের কাছ থেকে বল পেয়ে গোল করেন রিচার্লিসন।
এই জয়ে ১৬ ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শীর্ষেই রইল ব্রাজিল। হারেনি কোনো ম্যাচ। ১৫ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে আর্জেন্টিনা। ব্রাজিলের পরের ম্যাচ বুধবার বলিভিয়ার মাঠে। একই দিন জিতেছে উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে ও কলম্বিয়া।