প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে, তিনমাসের মাথায় নির্যাতন করে হ,ত্যা গ্রেফতার ৩

| আপডেট :  ৩০ মার্চ ২০২২, ১১:৫৭  | প্রকাশিত :  ৩০ মার্চ ২০২২, ১১:৫৭

প্রতিনিধি,পটুয়াখালী: পটুয়াখালী গলাচিপায় প্রেমের সম্পর্কে বিয়ের তিন মাসের মধ্যেই গৃহবধূ রুমানা আক্তার (১৯) কে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর ওই গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে স্বামী ও তার স্বজনরা পালিয়ে যায়। পুলিশ খবর পেয়ে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের চত্রা গ্রামে। অপরদিকে এ ঘটনায় রুমানার মা মোসা. সাজেদা বেগম বাদী হয়ে রুমানার স্বামী বেল্লাল হাওলাদার, শ্বশুড় মো. শহিদুল হাওলাদার, দেবর মো. টিপু ফেরদাউস, শাশুরি মোসা.ঝরনা বেগম ও ননদ সীমা বেগমকে আসামী করে গলাচিপা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গৃহবধূ রুমানার শ্বাশুরি ঝরনা বেগম, দেবর টিপু ফেরদাউস ও ননদ সীমা বেগমকে পুলিশ মঙ্গলবার রাতেই ডাকুয়া বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করেন।

এ ঘটনা সম্পর্কে (৩০ মার্চ) বুধবার বেলা ১টায় থানায় প্রেস ব্রিফিং করেন গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত তিন মাস আগে গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের চত্রা গ্রামের শহিদুল হাওলাদারের ছেলে বেল্লাল হাওলাদারের (২৮) সাথে দশমিনা উপজেলার পশ্চিম আলীপুরার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুল হাওলাদারের মেয়ে রুমানা বেগম (১৯) এর বিয়ে হয়। প্রথম দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও পরে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বিয়ের পর থেকে গৃহবধূ রুমানার সাথে তার স্বামী ও স্বামীর পরিবারের লোকজন খারাপ আচরণ করা শুরু করে।

সংসারের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে রুমানাকে স্বামী, শ্বশুড়, শাশুরি, দেবর ও ননদ বহুবার তাকে মারধর করেছে। খবর পেয়ে রুমানার বাবা মাসহ স্বজনরা গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে দেখে রুমানার লাশ পড়ে আছে। তার স্বামীর বাড়ির কোন লোকজন নেই। পরবর্তীতে রুমানার মা জানতে পারেন বিকেলে সাড়ে পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে যে কোন সময় রুমানাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত