নান্দাইলের কিশোর সাজিদ হত্যার রহস্য উদঘাটন,গ্রেফতার ২

| আপডেট :  ৩১ মার্চ ২০২২, ০৯:৫৫  | প্রকাশিত :  ৩১ মার্চ ২০২২, ০৯:৫৫

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ঘরে ডুকে ময়মনসিংহের নান্দাইলে

মাহফুজুর রহমান সাজিদ(১৫) নামে এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

গ্রেফতার কৃতরা হলেন, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার আব্দুল মান্নানের ছেলে মোঃহান্নান (৪৫) ও জেলার নান্দাইল উপজেলার রহিমপুর গ্রামের মোঃআলাল উদ্দিনের ছেলে মোঃ আরমান (১৯)।

বুধবার (৩০ মার্চ) বেলা দুইটার দিকে জেলা গোয়েন্দা শাখার পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এর আগে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভপুর থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি সফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত হান্নান গাজীপুরের ভবানীপুর এলাকায় স্বপরিবারে বসবাস করতেন। হান্নান ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা চালিয়ে সংসারের ব্যায় নির্বাহ করতেন। কিন্তু, হান্নান একা সংসার চালাতে না পেরে তিন সন্তানের জননী স্ত্রী রুনা বেগমকে পোশাক কারখানার শ্রমিক হিসেবে চাকুরী নিতে বলেন। কথা মত রুনা বেগম পোশাক কারখানায় চাকরী নেন। তিনি আরও বলেন, হত্যার শিকার সাজিদ এর বড় ভাই মো. রবিউল আওয়াল শুভ (১৮) আসামি হান্নানের স্ত্রীর সাথে তৈরী পোশাক কারখানায় কাজ করতেন এবং ভবানীপুর এলাকায় বসবাস করতেন। কাজ করার সুবাদে রবিউল আওয়াল শুভ ও হান্নান এর স্ত্রী রুনা বেগমের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ওই সম্পর্কের জেরে আনুমানিক ৪ থেকে ৫ মাস আগে রুনা বেগম দুই সন্তানকে স্বামীর ঘরে ফেলে রেখে রবিউল আওয়াল শুভকে বিয়ে করে নতুন সংসার বাঁধেন।স্ত্রীকে বিয়ে করায় ক্ষোব্দ হয়ে হান্নান প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেন।

ওসি সফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ঘটনার দিন গত ২৬ মার্চ হান্নান মিয়া উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামে তার মামাত ভাই অপর আসামী আরমানের বাড়িতে আসে। ওই দিন রাত মধ্যরাতে মাহফুজুর রহমান সাজিদের ঘরে প্রবেশ করে তাকে ছুরি দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে ও গলা কেঁটে মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা পালিয়ে যায়। পরদিন ২৭ মার্চ সকালে ঘরের দরজা খুলে খাটের উপর সাজিদের মরদেহ দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের দেখানো মতে ঘটনাস্থলের অদুরে পুকুরের পাড় থেকে রক্তমাখা জামা ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছোরা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত