1.  প্রচ্ছদ
2.  জেলার খবর
3.   যুবলীগ নেতাকে হত্যা করে তার বন্ধুরা

ময়মনসিংহ করেস পন্ডেন্ট : ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়া এলাকায় ছুরিকাঘাতে যুবলীগ নেতা শরীফ চৌধুরী ওরফে শান্ত (২১) খুনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা পিবিআই পুলিশ। নগরীর চরপাড়া এলাকার ফুটপথে অস্থায়ী দোকান থেকে সাপ্তাহিক চাঁদার টাকা ভাগাভাগি দন্দ্বে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন পিবিআই পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মহানগরীর মো. জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মোঃ শান্ত ইসলাম (২০), সদর উপজেলার পরানগগঞ্জ ভাটিপাড়া এলাকার মোঃ কেরামত আলীর ছেলে মোঃ আরিফুজ্জামান আরিফ (২২), জেলার তারাকান্দা উপজেলার নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. রাকিবুল হাসান তপু (২৫)।
শনিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে জেলা বিপিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা পিবিআই পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস এসব তথ্য জানান।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) ভোররাত সাড়ে ৪ টার দিকে নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা এলাকার ভিন্ন ভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

জেলা পিবিআই পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, নিহত শরীফ চৌধুরী শান্ত এবং হত্যাকান্ডে জড়িতরা সবাই একে অপরের বন্ধু ছিলেন। তারা নগরীর চরপাড়া এলাকায় একসাথে ওই এলাকার ফুটপথে অস্থায়ী দোকান থেকে সাপ্তাহিক চাঁদা তুলতেন। সম্প্রতি নিহত শরীফ আলাদা গ্রুপ করে চাঁদার টাকা তুলা শুরু করেন। পরে গ্রেপ্তারকৃতরা তাকে অনেক বুজিয় শরীফকে তাদের গ্রুপে আসতে বলে এবং চাঁদার টাকা ভাগাভাগি করে নিতে বলেন। এতে শরীফ অস্বীকৃতি জানায়। এই ক্ষোভ থেকে গ্রেপ্তারকৃত তিনজন মোট ৫ জন তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পলা বুধবার রাতে ১২ টার দিকে মন্ডল প্লাজা, চরপাড়া চৌধুরী ক্লিনিকের গলিতে ওৎপেতে বসে থাকেন। এসময় শরীফ আসতেই তাকে উপর্যুপরি ১৮ বার বুকে পিঠে ছুরিকাত করে ফেলে রেখে যায়। তবে, শরীফের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে কিনা দেখার জন্য আবার ঘটনাস্থলে আসে। পরে তাকে মৃৃত পেরে পেরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা শরীফকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। পরে আসামী আরিফুজ্জামান আরিফের দেখানো মতে পরানগঞ্জ ভাটিপাড়া তার নিজ বাড়ির পিছন থেকে খড়ের পুঞ্জির ভিতর হতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দু’টি চাকু আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়।

এই ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) রাতে নিহতের বাবা শহিদ মিয়া বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানা মামলা দায়ের করেন।

বাবার ক্লিনিক ব্যবসার সুবাধে নগরীর চরপাড়া এলাকাতেই পরিবারের সঙ্গে থাকতেন শরীফ।