‘দ্রব্য মূল্যের পাগলা ঘোড়া রমজান এলে লাগামছাড়া’

| আপডেট :  ১১ এপ্রিল ২০২২, ০১:১৯  | প্রকাশিত :  ১১ এপ্রিল ২০২২, ০১:১৯

শরিয়তপুর জেলা প্রতিনিধি, রতন আলী মোড়ল: দিন দিন যেন দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েই চলেছে লাগাম টেনে ধরার যেন কেউই নেই, কিছুদিন আগে যখন তেলের দাম আকাশছোঁয়া তখন এই তেল কে কেন্দ্র করে বেড়ে গিয়েছিলো সবকিছুর দাম, কালোবাজারি ব্যবসায়ীরা শুধু সুযোগের অপেক্ষায় থাকে কোনো দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে কিনা, বেড়েছে তেলের দাম এদিকে হোটেল দোকানদাররা বাড়িয়ে দিয়েছে চা আর রুটির দামও এখন তেলের সাথে চায়ের কি সংযোগ, একটা প্যান্ট কিনতে গেলাম মার্কেটে বলল তেলের দাম বাড়তি তার জন্য প্যান্টের দাম নাকি বাড়িয়ে দিয়েছে প্রতি পিস ১০০ টাকা করে, তাহলে তেলের সাথে প্যান্টের কি সংযোগ।

বিশ্ববাজারে যদি কোন কিছুর দাম বাড়ে ৫ টাকা বাংলাদেশে তার দাম বাড়াবে ৫০ টাকা, যেটাই কিনতে যান না কেন সবার একটাই কথা এটার দাম বাড়তি সেটার দাম বাড়তি কিন্তু আপনি যেটা কিনতে গিয়েছেন সেটার দাম কি বেড়েছে না।

মুসলিম দেশগুলোতে বিশেষ করে আরব দেশ গুলোতে রমজান এলে দ্রব্যমূল্যের দাম কমায় যাতে করে রোজাদাররা সহজে ভালো কিছু খেতে পারে কিন্তু বাংলাদেশে তা ভিন্ন বাইরের দেশগুলো ১১ মাস ব্যবসা করে একমাস মানুষকে সেবা দিতে প্রস্তুত থাকে আর বাংলাদেশ ১১ মাস তো ব্যবসা করে তার পাশাপাশি এক মাসে যেন ১১ মাসের ব্যবসা একসাথে করার চিন্তা ভাবনা করে।

অনেকে তো আবার ১১ মাস বসে থাকে যে এক মাসের সব ব্যবসা করে সবকিছু পুষিয়ে নেবে, যে লেবু আমরা দেখেছি রমজানের আগে ২০ থেকে ২৫ টাকা সেই লেবু রমজানের প্রথম দিন ঢাকাতে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা আর ঢাকার বাহিরে ৫০ টাকা তাহলে কি রমজানে মানুষকে সেবা দিচ্ছেন না ডাকাতি করছেন।

যারা অসহায় হতদরিদ্র মানুষ তারা এই রমজানে কিভাবে খেয়ে দেয়ে বেঁচে থাকবে এবং রোজা রাখবে, একটু চিন্তা করলেন না বাংলাদেশের প্রতিটি স্থানে সিন্ডিকেট থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী সব স্তরে স্তরে সিন্ডিকেটে ভরা। যেই কৃষকরা এত কষ্ট করে ফসল ফলায় তারা পায় না কোনো ন্যায্য দাম, কিন্তু কমিশন ভাগাভাগি এর খেলায় লাভবান সে অসাধু ব্যবসায়ীরা।

আবার তারাই হয়তো যাকাত দিবে চুষে নেয়া অর্থের করা সেই দান, একে তো দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েই চলছে তারপরও মুনাফালোভীরা রমজান এলে করে দ্বিগুণ দাম, তাইতো আমি লিখছি দ্রব্য মূল্যের পাগলা ঘোড়া রমজান এলে লাগামছাড়া।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত