পদ্মা নদীতে দুই ফেরির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১২।
রতন আলী মোড়ল জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর : শরীয়তপুর জাজিরার পদ্মা নদীতে গভীর রাতে দুই ফেরির মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে একজন নিহত অপর একজন নিখোঁজ সহ আহত ১২ জন।
এ ঘটনায় ১০/১২ টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ৭ টি গাড়ি ভেঙ্গে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রেখেছে। নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘাটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
জানা যায়, ১৯ জুন রবিবার রাত আনুমানিক ৩টা ৩০ মিনিটের সময় বেগম রোকেয়া ও সুফিয়া কামাল নামক দু’টি ফেরির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বেগম রোকেয়া নামক ফেরিটি মাওয়া ঘাট থেকে মাঝিরঘাট আসছিল, অপরদিকে সুফিয়া কামাল নামক ফেরিটি মাঝির ঘাট থেকে মাওয়া ঘাটে যাচ্ছিল। নদীতে প্রচন্ড খর স্রোতের কারণে ফেরি দুটি মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বলে জানান জাজিরা নৌ পুলিশ কর্মকর্তা এসআই জহিরুল হক।
এ ঘটনায় সুফিয়া কামাল ফেরির চাপে ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া ইউনিয়নের মাছের গাড়ির পিকআপের ড্রাইভার খোকন শিকদার (৪০) নামের এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। অপরদিকে মুন্সীগঞ্জের ড্রাইভার শামীম (৪০) পানিতে পড়ে এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে। আহত প্রায় ১২ জন, তাদেরকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। ফেরির চাপে ১০ থেকে ১২ টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার মধ্যে সাতটি গাড়ি ভেঙ্গে দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
নিখোঁজ ড্রাইভার শামীমের গাড়ির মালিক হাবিব উল্লাহ জানান, গাড়িটি ঢাকা থেকে ফরিদপুর যাচ্ছিল। পথিমধ্যে দুই ফেরির সংঘর্ষে শামীম পানিতে পড়ে যায়। তাকে খোঁজাখুঁজি করা হচ্ছে। সে এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
ফেরিতে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী জাহিদ হাসান জানান, আমি রুকেয়া ফেরিতে ছিলাম। রাত তিনটা বিশ মিনিটের সময় হঠাৎ দু’টি ফেরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়, এতে আমার গাড়ির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। আমরা যতটুকু বুঝতে পেরেছি, ফেরি চালক ঘুমাচ্ছিলেন, প্রয়োজনীয় লাইট এবং সংকেত সে দেয়নি। একই বক্তব্য দেন ফেরিতে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী রায়হান খান ও।
অভিযোগের বিষয়ে বেগম রোকেয়ার ফেরি চালক রফিককে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি এবং তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ ছিল।
জাজিরা মাঝিরঘাট নৌ পুলিশের কর্মকর্তা এসআই জহিরুল হক জানান, নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজাখুঁজি অব্যাহত আছে। এখনো তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
বিআইডব্লিউটিসির নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল মান্নান ও মেরিন এজিএম আহমদ আলী জানান আমরা ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি গুলো সরিয়ে নিয়ে মেরামতের ব্যবস্থা করার জন্য এসেছি।
বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার সালাউদ্দিনের কাছে এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি রাগান্বিত হয়ে যান, এবং এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে পারবেন না বলে জানান।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত