প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে প্রয়োজন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা

| আপডেট :  ২৩ জুন ২০২২, ১২:০৪  | প্রকাশিত :  ২৩ জুন ২০২২, ১২:০৪

বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা কর্মক্ষেত্রে অনেক বৈষম্যের শিকার হয়। যোগ্যতা থাকাসত্বেও অধিকাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি চাকরি থেকে বঞ্চিত। অসচেতনতা, কুসংস্কার, নিয়োগ সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক আইন ও বিধি, নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের নেতিবাচকমনো ভাব প্রবেশ গম্য তার অভাব এবং প্রচলিত আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়া এর অন্যতম কারণ। তবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সুযোগ পেলে কর্মক্ষেত্রে বড় অবদান রাখতে পারে তার প্রমাণ দিয়েছে’ইনক্লুশন ওয়ার্কস’ প্রকল্প।

বুধবার (২২ জুন) ২০২২ তারিখে ঢাকায় প্রকল্পটির সমাপনি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যেখানে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম.এ. মান্নান প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

‘ইউকেএইড’ এর অর্থায়নে সাইট সেভার্স, এডিডি ইন্টারন্যাশনাল, ইন্টারন্যাশনাল ডিজএ্যাবিলিটি এ্যালায়েন্স, ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজসহ মোট ১১টি আন্তর্জাতিকসংস্থা, দেশীয় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠন বাওপিডিদের সহায়তায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ ও চাকুরিতে অন্তর্ভূক্তি বৃদ্ধিরলক্ষ্যে ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী, খুলনা ও চট্টগ্রামে‘ইনক্লুশন ওয়ার্কস’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে। ইনক্লুশন ওয়ার্কস বাংলাদেশে ৫০০-এর অধিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে নিয়মাতান্ত্রিকভাবে চাকুরীতে অন্তর্ভূক্তি করেছে এবং পাশাপাশিসহ¯স্রারাধিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে।

সমাপনিঅনুষ্ঠানের প্রধান অতিথী পরিকল্পনামন্ত্রীএম.এ. মান্নান বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার আইনের আলোকে বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সৃতপরিকল্পনা নিশ্চিত করেছে। অষ্ঠমপঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাও তাদের সমস্যার সমাধান এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নকে দৃঢ় ভাবেবিবেচনা করেছে।’

বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চাকরির সুযোগ সৃষ্টিতে ইনক্লুশনওয়ার্কস প্রোগ্রামের প্রচেষ্টাও প্রশংসা করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

বিশেষঅতিথীর বক্তব্যে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজবলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষায় দৃঢ় প্রত্যয়ী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রাকে বিশেষভাবে ধারণ করে এবং সে ক্ষ্যেই আমরা সরকারের নীতির আলোকে কাজ করে যাচ্ছি।’

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা যেন প্রাতিষ্ঠানিক কর্মক্ষেত্রে সম্পৃক্ত হতে পারেন সে জন্য ১৮০টি নিয়োগ দাতাপ্রতিষ্ঠানেই উএনসিআরপিডি অনুমোদিত উদ্ভাবনী পদ্ধতিগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বাস্তবায়ন এবংতারা যেন তাদের কাজ করার অধিকার সম্পর্কে আরও সচেতন হতে পারেন সেজন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার আন্দোলন জোরদার করতে প্রায় ১৮ টি গণমাধ্যম ও ২০০ এর অধিকপ্রতিবন্ধী সংগঠনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে এই প্রকল্পটি।

এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মাত্র তিন বছরেই নক্লুশন ওয়ার্কস প্রকল্প বড় প্রভাব রাখতে পেরেছে এবং চাকরি প্রার্থীদের কর্মসংস্থানের হার দ্বিগুণেরও বেশী করেছে। এই অগ্রগতি উৎসাহ ব্যঞ্জক কিন্তু এখনো অনেক দূরে যেতে হবে আমাদের।’

সাইট সেভার্স বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অমৃতা রেজিনা রোজারিও বলেন, ‘অপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের তুলনায়প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বেকারহওয়ার সম্ভাবনাদ্বিগুণ। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবিকা অর্জনের সুযোগ সীমিত, বৈষম্য ও প্রবেশগম্য কর্মক্ষেত্রের অভাবে তারা কর্মসংস্থানে পিছিয়ে পড়ছে এবং দারিদ্রের চক্র থেকে বের হতে পারছে না।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথী হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন, এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: মফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো: আবুলবাশার, ঢাকাস্থ বৃটিশ হাইকমিশনের সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা তাহেরা জেবিন, বাংলাদেশ এ্যাপ্লয়ারস ফেডারশনের প্রেসিডেন্ট আর্দাশীর কবির, লিওনার্ড চেশিয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর জহির বিন সিদ্দিক, ইমপ্যাক্ট ফাউন্ডেশনের ট্রাস্ট্রি মনসুর আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ। সাইট সেভার্স বাংলাদেশের প্রজেক্ট ম্যানেজার উৎপল মল্লিক সমাপনি অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপসস্থাপন করেন।

ইনক্লুশন প্রোগ্রাম/ইনক্লুসিভফিউচারসসম্পর্কে আরোজানতে, যোগাযোগিি.িরহপষঁংরাবভঁঃঁৎবং.ড়ৎম

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত