শরীয়তপুরে রাস্তা প্রশস্তকরণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ
রতন আলী মোড়ল শরিয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তা প্রশস্ত করণের কাজে ব্যাপক অনিয়মের দূর্নীতি অভিযোগ উঠেছে।
বালুর স্থলে দেওয়া হচ্ছে মাটি। আর ইটের খোয়া ও বালির মিশ্রনে মানা হচ্ছে না কোন নিয়মনীতি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দাবী সিডিউল সিস্টেম অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে।
তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে কাজে অনিয়ম পেয়ে কাজ বন্ধ করে রেখেছিলাম। এখন পুনরায় সিডিউল অনুযায়ী কাজ করানো হচ্ছে।
শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের কার্যসহকারী রবিউল ইসলাম ও গঙ্গানগর বাজার এলাকার সিএনজি চালক জামাল হোসেন, ব্যবসায়ী শাজাহান মাদবর, রুবেল মাদবরসহ বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, ২১-২২ অর্থ বছরে শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলার গঙ্গানগর বাজারে ৫ ফুট প্রশস্তের ২৫০ মিটার ও জাজিরা উপজেলার লাউখোলা বাজারে ৫০০ মিটার রাস্তা প্রশস্ত করণের কাজের টেন্ডার আহবান করে শরীয়তপুর জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
সর্বনিম্ন দরদাতা হিসাবে ৫০ লাখ টাকা ব্যায়ে কাজটি পায় ঢাকার আবেদ মুনসুর নামের একজন ঠিকাদার। সে কাজ টি মাদারীপুরের আবুল খায়ের বেপারী ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সহ সম্পাদক ওমর ফারুক পাংকু সাব-ঠিকাদার হিসাবে কাজটি পান।
সিডিউল অনুযায়ী ২৮ ইঞ্চি গর্ত হবে। সেখানে প্রথমে ১২ ইঞ্চি বালু, ইটের খোয়া ও বালু মিশ্রণ করে ৮ ইঞ্চি সাব বেইজ তৈরি করে ৮ ইঞ্চি আরসিসি ঢালাই করে কাজ করার কথা রয়েছে।
কিন্তু সেখানে ১৪ ইঞ্চি গর্ত করে বালুর পরিবর্তে মাটি দিয়ে গর্তের অধিকাংশ জায়গা ভরাট করা হচ্ছে। মানা হচ্ছে না কোন নিয়ম নীতি। স্থানীয়দের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শরীয়তপুর জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের মৌখিক নির্দেশনায় কাজটি বন্ধ রাখা হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্যর চাপের মুখে শনিবার গভীর রাতে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাসহ সাব-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পুনরায় দেখতে আসে এবং গত রবিবার থেকে সাব ঠিকাদারের লোকজন গোজামিল দিয়ে কোনমতে কাজটি দ্রুত শেষ করতে পুনরায় কাজ শুরু করে। নিম্ন মানের কাজ ও সিডিউল অনুযায় কাজ না করায়, স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, আমাদের গঙ্গানগর বাজার ও লাউখোলা রাস্তার কাজে ঠিকাদার বেশ অনিয়ম করছে। আমরা বিষয়টি সড়ক ও জনপথকে জানালে তারা কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। এখন আবার নতুন করে কোন পরিবর্তন ছাড়াই কাজ শুরু করেছে।
কাজে অনিয়মের কথা স্বীকার করে শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের কার্যসহকারী রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা কাজে অনিয়ম পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেই। নিয়ম অনুযায়ী কাজ না করলে চলবে না। আমরা ঠিকাদারের কাছ থেকে সঠিক কাজ বুঝে নিব।
ঠিকাদার ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সম্পাদক ওমর ফারুক পাংকু বলেন, আমরা সিডিউল অনুযায়ী কাজ করছি। কোন রকম অনিয়ম করছি না। আমাদের বিরুদ্ধে অনেকে ষড়যন্ত্র করছে।
শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসও) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা কাজের কিছু অনিয়ম পেয়ে কাজ বন্ধ রেখেছিলাম। এখন সেগুলো পরিবর্তন করিয়েছি। শরীয়তপুর-১ আসনের এমপি সাহেবের নির্দেশে সিডিউল অনুযায়ী নিয়ম মেনে পুনরায় কাজ করাচ্ছি।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত