সাতক্ষীরা থানার এএসআই শরিফুলের প্রচেষ্টায় দীর্ঘ দিনের বিরোধ মিমাংসা, মিষ্টি মুখ

| আপডেট :  ১০ আগস্ট ২০২২, ০৮:৩৪  | প্রকাশিত :  ১০ আগস্ট ২০২২, ০৮:৩৪

ভূয়া ওয়ারেশ কায়েম সনদ দেখিয়ে পৈত্রিক জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ ছনকা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে উঠেছে। এতে ভুক্তভোগী একই গ্রামের মৃত. আ: জলিলের ছেলে মো. সহিদুল ইসলাম প্রতিকার পেতে ৫ জুলাই সাতক্ষীরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার ঘোনা ইউনিয়নের ছনকা গ্রামের আ: জলিল পৈত্রিক সূত্রে ছনকা মৌজায় ১৯ শতক ও দাঁতভাঙ্গা বিলে ১৩২ শতক জমি ভোগ দখল করছিল। আ: জলিলের মৃত্যুর পরে ওই জমি তার (আ: জলিল) ওয়ারেশ মো: সহিদুল ইসলাম চাষাবাদ ও ভোগদখল করেন। এদিকে ছনকা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আমিনুর রহমান কথিত একটি ওয়ারেশ কায়েম সনদের ফটোকপিতে তার মায়ের দাদীর ফুফাতো ভাই আ: জলিল দাবী করে ওই জমি দখল করতে উদ্যত হয়। উপরিউক্ত ঘটনা থেকে পরিত্রাণ পেতে মো. সহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে একই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আমিনুর রহমান ও এন্তাজ আলীর স্ত্রী সালেহা বেগমকে বিবাদী করে সাতক্ষীরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

উক্ত অভিযোগটি আমলে নিয়ে সাতক্ষীরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বিশ্বজিৎ অধিকারী অভিযোগটি তদন্তের জন্য এএসআই শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব প্রদান করেন। সেই প্রেক্ষিতে এএসআই শরিফুল ইসলাম উভয়পক্ষকে উপস্থিত হওয়ার জন্য দিন ধায্য করলে বিবাদী পক্ষ তালবাহনা করে ঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান’র উপর মিমাংসার জন্য অফিসার ইনচার্জকে অনুরোধ করেন।

অত:পর ঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান উভয় পক্ষকে গত ১৬ জুলাই উপস্থিত হওয়ার জন্য নোটিশ করেন। কিন্তু বিবাদী পক্ষ আমিনুর রহমানগং চেয়ারম্যান’র নোটিশ প্রত্যাখান করে ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়নি।

সর্বশেষ এএসআই শরিফুল ইসলামের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গত ৮ আগস্ট স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে একটি শালিশের মাধ্যমে উভয়পক্ষের বিরোধ মিমাংসা করতে সক্ষম হয়। ওই শালিশী আপোষনামায় উভয়পক্ষ স্বাক্ষী সাবেক ইউপি সদস্য মুনছুর আহমেদ, বকুল হয়দার, মো. শাহিনুর রহমানসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সম্মুখে বিরোধপূর্ণ কর্মকান্ডে জড়িত হবে না মর্মে স্বাক্ষর করেন। এবং এক আনন্দঘন পরিবেশে মিষ্টি মুখের মাধ্যমে মিমাংসা নিষ্পতি হয়।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত