গৌরীপুরে সাংবাদিকের পা কেটে নেয়ার হুমকি, থানায় ডায়েরি

| আপডেট :  ১১ আগস্ট ২০২২, ০৮:০৪  | প্রকাশিত :  ১১ আগস্ট ২০২২, ০৭:৩১

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে সাংবাদিক মশিউর রহমান কাউসারের (৩৮) পা কেটে নেয়াসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৭) নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

বুধবার (১০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে গৌরীপুর রেলস্টেশন এলাকায় এ ঘটনায় ঘটে। এ হুমকির ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে এদিন রাতে গৌরীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন ওই সাংবাদিক।

হুমকি পাওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মশিউর রহমান কাউসার দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার গৌরীপুর প্রতিনিধি এবং গৌরীপুর প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব।

মশিউর রহমান কাউসার জানান, ঘটনারদিন তিনি গৌরীপুর রেলস্টেশন এলাকায় তাঁর ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বসেছিলেন। ঘটনার সময় গৌরীপুর পৌরসভার মধ্য ভালুকা এলাকার মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম তার সহযোগী স্থানীয় সিদ্দিক মিয়া (৪৫) কে নিয়ে সেখানে গিয়ে উত্তেজিত হয়ে তাঁকে গালিগালাজ শুরু করেন।এ সময় মঞ্জুরুল সাংবাদিক কাউসারকে পা কেটে নেয়ার হুমকী দিয়ে বলেন- ‘তুই বড় সাংবাদিক হইয়া গেছস; তোর লাইগ্যা আমি মামলায় ফাঁসছি। আর এতে আমার ৯০ হাজার টেহা খরচ হইছে। তোর পা কাইট্যা নিয়া যাইয়াম।

’উল্লেখ্য এ বছর স্বাধীনতা দিবসে পতাকা মিছিলের প্রস্তুতিকালে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও একটি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক ইমতিয়াজ সুলতান জনির ওপর মঞ্জুরুলের নেতৃত্বে ন্যাক্কাজনক হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জনির একটি পা ভেঙ্গে ফেলা হয়। পরে গুরুতর আহত জনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হলেও তাকে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়।

এ হামলার ঘটনায় ২৭ মার্চ দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকায় ‘গৌরীপুরে হাতুড়ি পেটায় হাঁটু ভাঙল ছাত্রলীগ নেতার’ এই শিরোনামে মশিউর রহমান কাউসারের একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদ প্রকাশের পর থেকে মঞ্জুরুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন সময় সাংবাদিককে নানাভাবে হুমকী দিয়ে আসছিলেন।

অভিযুক্ত মঞ্জুরুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তার সাথে আমার জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম তার কাছে, কিন্তু তাকে কোন প্রকার হুমকি আমি দেইনি।

এ ব্যাপারে গৌরীপুর থানার ওসি খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী জিডি হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এখন পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত