1.  প্রচ্ছদ
2.  জেলার খবর
3.   মির্জাগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভকালে পুলিশের বাধা ও আ.লীগের হামলায় অভিযোগ, আহত ২০

পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে দৈর্ঘ্য পাঁচ বছর পর বিক্ষোভ মিছিল অংশ গ্রহণ করলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা এতে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের বাধায় বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি সংক্ষেপ করতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

তবে এর আগে সকল কর্মসূচী ঘরোয়া ভাবে পালিত হয়। বিক্ষোভ শেষে ফেরার পথে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বিএনপির উপর হামলা চালায় এতে আহত হয় বিএনপির ২০ নেতা-কর্মী।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বরগুনা-বাখেরগঞ্জ মহাসড়কের উপজেলার কলেজ রোড এলাকায় শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে উপজেলা বিএনপি।

দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপজেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তাঁরা। মিছিলে দলের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও অংশ নেন। তবে মিছিলটি শহরের দারুস সুন্নত ফাজিল মাদ্রাসার সামনে থেকে উপজেলা পরিষদের দিকে যেতে চাইলে একটু সামনে গেলেই মাদ্রাসার সামনে পুলিশ বাধা দেয়। সেখানেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা। পরে সমাবেশ থেকে ফেরার পথে উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক জসিম উদ্দিন জুয়েল বেপারির নেতৃত্বে ১০/১২ জনে লঠি-সোটা নিয়ে হামলা করলে আমরাগাছিয়া ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, মাধবখালী ইউনিয়নের সভাপতি শাহীন চৌধুরী পাশা, সম্পাদক পলাশ হাওলাদার, সহ সভাপতি জাকির হোসেন মাস্টার, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ হালিম হাওলাদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ পান্না, ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক মোঃ সুমন তালুকদার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক পরাগ মুন্সিসহ ২০ নেতা কর্মীকে পিটিয়ে আহত করেন বলে জানান তারা।

মির্জাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে ছিল। তারা ভিতরে বসে প্রোগ্রাম করে চলে গেছে।

এর আগে মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক আলহাজ্ব আশরাফ আলী হাওলাদার সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ চুন্নু, প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য বশির আহমেদ মৃধা, জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, জেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মশিউর রহমান মিলন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শফিউল বসার উজ্জ্বল।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম ফরাজী, হারুনুর রশিদ মুন্সি, সদস্য মোবারক আলী মুন্সী, আসাদুজ্জামান মনির প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ চরম বিপাকে আছে। সবকিছু মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। মানুষ অসহায়। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। তাঁদের লুটপাটের কারণেই দেশের এই করুণ অবস্থা। দেশের মানুষ এই ব্যর্থ সরকারের কবল থেকে মুক্তি চায়।

হামলার বিষয় জানতে উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক জুয়েল বেপারিকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।