মাকে উদ্ধারের পর যা বললেন মরিয়ম মান্নান
খুলনায় নিখোঁজ হওয়া রহিমা খাতুনকে জীবিত ফিরে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ! এখন আমার থেকে খুশি আর কেউ নেই! খুলনার মহেশ্বরপাশায় নিখোঁজ আমার মাকে অক্ষত অবস্থায় ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা দৌলতপুর থানার এসআই লুৎফুল হায়দার। কেএমপি পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি আমাকে নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে খুলনার মহেশ্বরপাশায় নিখোঁজ রহিমা বেগমকে অক্ষত অবস্থায় ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। মায়ের নিখোঁজের তথ্য জানিয়ে প্রায় এক মাস ধরে তার সন্ধান করছিলেন তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান। মরিয়মের কান্নার ছবি ছুঁয়ে যায় সবাইকে।
উদ্ধারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা খুলনার দৌলতপুর থানার এসআই লুৎফুল হায়দার।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার আব্দুল হক জানান, পৌনে ১১টার দিকে বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রাম থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করা হয়। তাকে খুলনায় পাঠানো হচ্ছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঁইয়া জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দৌলতপুর জোনের এডিসির নেতৃত্বে দৌলতপুর থানা পুলিশ রহিমা বেগমকে জীবিত উদ্ধার করে। তাকে নিয়ে পুলিশের টিমটি খুলনায় রওয়ানা দিয়েছে। খুলনায় আনার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে তিনি আসলে অপহৃত হয়েছিলেন নাকি স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন।
দৌলতপুর থানা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে রহিমা ও তার মেয়েরা অপহরণের নাটক সাজিয়েছিলেন। তিনি মূলত স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন।
এর আগে গত শুক্রবার ময়মনসিংহে ১২ দিন আগে উদ্ধার করা একটি মরদেহকে নিজের মায়ের বলে দাবি করেছিলেন মরিয়ম মান্নানসহ রহিমা বেগমের তিন মেয়ে।
খুলনার দৌলতপুর মহেশ্বরপাশার বণিকপাড়া থেকে গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিখোঁজ হন রহিমা। সেসময় রহিমার দ্বিতীয় স্বামী বিল্লাল হাওলাদার ওই বাড়িতে ছিলেন। পানি আনতে বাসা থেকে নিচে নেমেছিলেন রহিমা। দীর্ঘ সময় পরও তার খোঁজ না পাওয়ায় ঘটনার দিন রাত সোয়া ২টায় দৌলতপুর থানায় অপহরণ মামলা করেন তার মেয়ে আদুরী।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত