রেকর্ড লজ্জার হার নিয়ে যা বললেন সাকিব
সুপার টুয়েলভে নিজেদের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে গেছে বাংলাদেশ।
সিডনিতে বৃহস্পতিবার আগে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এতেই হার অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণের পক্ষে ২০৫ রান তাড়া করে জেতা সহজ হওয়ার কথা নয়।
কিন্তু তাই বলে ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে পারবেন না টাইগাররা। এভাবেই পাড়ার ছোটভাই হয়ে ১০৪ রানের বিশাল হারের তেতো স্বাদ নিল বাংলাদেশ।
যা টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বড় পরাজয় বাংলাদেশের। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হার ৭৫ রানে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৬ সালের আসরে।
টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বড় হার ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে, ২০০৮ সালে হেরেছিল ১০২ রানে।
আর এমন লজ্জার রেকর্ড হারের পর কী বলছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক?
নিজেদের বাজে বোলিংকে দুষলেন সাকিব আল হাসান।
ম্যাচশেষে পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চে সঞ্চালক অ্যাডাম গিলক্রিস্টের প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলেন, ‘পরিকল্পনা মাঠে বাস্তবায়ন করতে পারিনি আমরা। বিশেষ করে ইনিংসের শুরুতে, প্রথম ছয় ওভারে। আমাদের উইকেট নিতে হতো। এখানে উইকেট না নিতে পারলে আমরা সবসময় পিছিয়ে থাকব। ওদের হাতে উইকেট ছিল। আর ওরা দুজন যেভাবে খেলেছে, তাতেই ম্যাচটি হাত থেকে ফসকে গেছে।’
ব্যাটিংসহায়ক উইকেটের বিষয়টি স্বীকার করলেন সাকিব।
এ স্পিন-অলরাউন্ডার বললেন, ‘উইকেট ভালো ছিল, আগের দিন এই মাঠে নিউজিল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যা করেছে, আজ দক্ষিণ আফ্রিকাও তা-ই করেছে। প্রথম ওভারের পর আমরা আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। আমাদের প্ল্যানিংয়ে কোনো ভুল ছিল। আমাদের আসলে বিশ্বাসে ঘাটতি থাকতে পারে, এরকম বড় রান তাড়া করে জেতার, আমরা ঘরোয়াতেও এমন রান তাড়া করিনি। এমন না যে আমরা এর আগে বড় স্কোর করিনি। রাইলি রুশো দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছে (উইকেট)। কুইন্টনও ভালো খেলেছে। ওদের দুজনের জুটিটাই আমাদের হারিয়ে দিয়েছে।’
ব্যাটিংসহায়ক উইকেট টাইগার ব্যাটারদের এই হাল কেন? সাকিব জানালেন, অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে গতি ও বাউন্সের সঙ্গে সেভাবে পেরে উঠছেন না তারা।
তিনি বললেন, ‘মি হতাশ, আমাদের আরো ভালো ব্যাটিং করার কথা ছিল। ব্যাটিংয়ে আমাদের অনেক উন্নতি করতে হবে। আমাদের বাউন্স ও পেসের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। আমাদের শুধু ব্যাটিং করে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত