সিত্রাং তাণ্ডবে বিচ্ছিন্ন উজানটিয়া সড়ক, দুর্ভোগ লাঘবে এগিয়ে এলেন শওকত
পেকুয়া প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে সড়ক বিচ্ছিন্ন। পাশের নদী থেকে পানি ঢুকে জোয়ার-ভাটায় পরিণত হয়েছে লোকালয়। ভেঙে যাওয়া সড়কের দুই প্রান্তে জড়ো হয়েছে অসংখ্য যানবাহন। যানবাহন থেকে নেমেই নৌকায় পার হয়ে উঠতে হচ্ছে অপর প্রান্তের যানবাহনগুলোতে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে পথচারীরা। চিত্রটি পেকুয়ার উজানটিয়া সড়কের কাটাফাঁড়ি ব্রিজ সংলগ্ন রুপাই খালের অভিমূখে ভেঙ্গে যাওয়া সড়কের।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং তাণ্ডব শেষ হওয়ার তিনদিনের মধ্যেও ভাঙ্গাটি সংস্কার করতে এগিয়ে আসেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলজিইডি। এতে ক্ষোভ ঝেড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ওই সড়ক দিয়ে চলাচলরত যাত্রীরা। তবে বৃহস্পতিবার নিজ উদ্যোগে ওই ভাঙ্গা অংশটি সংস্কারে এগিয়ে এসেছেন জেলা পরিষদের সদ্য নির্বাচিত সদস্য শওকত হোসেন।
উজানটিয়ার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীক কাজে আমাকে প্রতিদিন পেকুয়া বাজার যেতে হয়। সড়ক ভেঙ্গে যাওয়াতে গাড়ি থেকে নেমে নৌকায় পার হতে হচ্ছে ভাঙ্গা অংশটি। গত তিনদিন ধরে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আমাদের। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কেউ এগিয়ে আসছেনা ভাঙ্গাটি মেরামতে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য শওকত হোসেনের আর্থিক অনুদানে বিচ্ছিন্ন সড়ক সংস্কার কাজ শুরু করায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা।
উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল করিম বলেন, সিত্রাংয়ের আঘাতে কাটাফাঁড়ি ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তাটি বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বেশি দুর্ভোগে পড়েছে আমার ইউনিয়িনের বাসিন্দারা। কারণ এটিই আমাদের একমাত্র চলাচল রাস্তা। মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে অল্প সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ শুরু করায় জেলা পরিষদ সদস্য শওকতকে ধন্যবাদ জানাই। আশাকরি দুয়েকদিনের মধ্যেই সড়কটি জোড়া লাগবে।
কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য শওকত হোসেন বলেন, উজানটিয়া সড়কটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর এলজিইডি ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সংস্কার কাজ শুরু করতে দেরি করায় মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে। মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে উপজেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলে নিজ অর্থায়নে কাজ শুরু করেছি আমি। আশাকরি দুয়েকদিনের মধ্যে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।
এ সংস্কার কাজ অস্থায়ী উল্লেখ করে শওকত হোসেন আরও বলেন, মানুষের কষ্ট লাঘবে এই সড়কের দুইপাশে বেড়া দিয়ে মাটি ফেলানো হচ্ছে। এটি অস্থায়ী। এখানে স্লুইসগেট লাগবে। অন্যথায় আগামী বর্ষাতে আবার ভেঙ্গে যাবে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষজে এটি নিয়ে ভাবতে হবে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, জনসাধারণের দুর্ভোগ লাগবে ওই স্থানে টেকসই স্লুইসগেট নির্মাণ করা হবে।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত