বিএনপি ঢাকায় সমাবেশের নামে পিকনিক পার্টি করতে চেয়েছিল: ওবায়দুল কাদের

| আপডেট :  ১০ ডিসেম্বর ২০২২, ০৭:২২  | প্রকাশিত :  ১০ ডিসেম্বর ২০২২, ০৭:২২

বিএনপি ঢাকায় মহাসমাবেশের নামে মূলত পিকনিক পার্টি করতে চেয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সাভারের রেডিও কলোনি মাঠে ঢাকা জেলার তিন উপজেলার আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত জনসভায় যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন ১০ ডিসেম্বর বিএনপি ক্ষমতা দখলের খোয়াব দেখেছিল। কিন্তু ১০ ডিসেম্বরের আগেই কী হল? পুলিশ তাদের কার্যালয়ে গিয়ে ১৬০ বস্তা চালসহ ডাল পেল। তারা সমাবেশের নামে পিকনিক পার্টি করতে চেয়েছিল। ঢাকায় আজ সমাবেশ। কিন্তু পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায়, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঢাকা সিটি আজ বঙ্গবন্ধুর সৈনিক শেখ হাসিনার কর্মীদের দখলে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এতিমের টাকা আত্মসাৎ করায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে কি বিএনপির নেতাকর্মীরা আন্দোলন করে মুক্ত করেছে?? তাঁকে মানবতা দেখিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারাগার থেকে কারাগার থেকে বের করে বাসায় থাকতে দিয়েছেন।

এসময় ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউর রহমান। শুধু তাই নয় তিনি খুনিদের পুরস্কৃতও করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িতদের পুনবার্সিত করেছেন। জেল হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। তাদের হাতে দেশ মোটেও নিরাপদ নয়। যেই বাংলাদেশে সরকারের বিকল্প সেন্টার হাওয়া ভবন, গাজীপুরে খোয়াব ভবন হয়েছে। আওয়ামী লীগের আহসানুল্লাহ মাস্টার, এ এম এস কিবরিয়া, মমতাজ উদ্দিনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে। রক্তের নদীর ধারা বইয়ে দিয়েছে বিএনপি। আপনারা কি সেই বাংলাদেশ চান?

এসময় খেলা হবে স্লোগান নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকেই এই স্লোগান কে পছন্দ করেননি তারা বলেন আমার মুখে এই স্লোগান মানায়না এটি নাকি মার্জিত ভাষা নয়। আমি তাদেরকে বলতে চাই পশ্চিমবঙ্গের লাষ্ট ইলেকশনে নরেন্দ্র মোদী, মমতা ব্যানার্জিরা একটাই স্লোগান দিয়েছে খেলা হবে। তাই আমি বলবো জনগণ যেই স্লোগান পছন্দ করে আমি সেই স্লোগান দিবো এতে কে কি মনে করলো তাতে আমার কিছু যায় আসেনা। খেলা হবে এই ডিসেম্বরেই খেলা হবে।

উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম (এমপি) বলেন, বিএনপি আমাদের উন্নয়নের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। তারা বলেছিল নভেম্বরের মধ্যে দেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে। নভেম্বর ছাড়িয়ে ডিসেম্বর এসেছে। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়নি। তারা বলেছিল, ১০ ডিসেম্বরের পরে বাংলাদেশ খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে চলবে। ১১ তারিখ খুনি তারেক রহমান আসবেন। কোনো নির্বাচন নয়। বিমানবন্দর থেকে সোজা বঙ্গভবন যাবে। আজকে ১০ তারিখ। মির্জা ফখরুল ও আব্বাস এখন কারাগারে।

মির্জা আজম বলেন, আজকে ১০ তারিখ। ঢাকা শহরে বিএনপি খুঁজে পাওয়া যায় না। মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস কারাগারে বসে আছেন। বিএনপি সমাবেশ করছে। বিদেশ থেকে ওহি নাজিল হবে। শেখ হাসিনাকে টেনে-হিঁচড়ে নামিয়ে তারা গদিতে বসে পড়বেন। আজকে তাদের সমস্ত পরিকল্পনা ভণ্ডুল হয়েছে। তাদের কথা বিশ্বাস করবেন না। গুজবে কান দেবেন না। যখনই কোনো নির্বাচন আসে, তখনই তারা (বিএনপি) জণগনের সঙ্গে প্রতারণা করে। দেশের দুঃসময় এলেই বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ। আজকে ১৪ বছর আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। সেই ১৪ বছর আগে বাংলাদেশ কী ছিল। যেদিন প্রধানমন্ত্রী শপথ নেন। সেদিন বাংলাদেশ কোথায় ছিল। সেই দেশ ছিল সবচেয়ে দরিদ্রতম দেশ। বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৪০ ডলার। ১৪ বছরে বাংলাদেশ আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। মাথাপিছু আয় ২১০০ ডলার।

জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী এনামুর রহমান, ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ প্রমুখ।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত