পেটের তাড়নায় আর অসুস্থ ছেলেকে বাঁচাতে ভিক্ষায় নামছি

| আপডেট :  ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:১৫  | প্রকাশিত :  ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:১৫

জুবায়ের ইসলাম, দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড নিবাসী মো. ইছাহাক মোল্লা (৮৬) কথাগুলো কাঁপতে কাঁপতে বলছিলেন। সাথে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী ৮০ বছর বয়সী র‌ওশন আরা বেগম।

স্বামী স্ত্রী দু’জনেই যবুথবু হয়ে বসে বলতে শুরু করল তাদের মানবেতর জীবন-যাপনের কাহিনী। দুই ছেলে রয়েছে তাদের। ছোট ছেলে মোশাররফ মোল্লা (৩০) দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতো। কিন্তু বিধি বাম, ১৩ মাস পূর্বে হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বাম পা অবশ হয়ে যায়। আর সাথে সাথে কাজ কর্ম বন্ধ হয়ে যায়। ছেলের চিকিৎসা, ঔষধ ও নিজেদের ভরণ-পোষণে দিশেহারা হয়ে পড়েন। অবশেষে নিরুপায় হয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে নামেন স্বামী স্ত্রী দু’জনেই। প্রচন্ড শীতের মধ্যেও বুড়া বয়সে সারাদিন ভিক্ষা করে যা পায় তা দিয়ে সংসারের খাবার ও ওষুধ কিনতে পারে না।

ইছাহাক মোল্লা বলেন, বুড়া বয়সে এখন আর এত কষ্ট সহ্য করতে পারছি না প্রায়‌ই অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে থাকি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মায়ের কাছে আমাদের জন্য সাহায্যের জন্য আবেদন জানাই।

র‌ওশন আরা বেগম বলেন, অনাহারে অর্ধাহারে ছেলেকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। সরকারিভাবে তেমন কোনো সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছি না। সমাজের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের ও জনপ্রতিনিধিদের সাহায্য সহযোগিতা কামনা করছি।

বড় ছেলের সম্পর্কে জানান, স্ত্রী, দুই ছেলে মেয়ে নিয়ে তারা ঢাকায় দিনমজুরের কাজ করে কোন মতে চলছে।

এ ব্যাপারে মুরাদিয়া ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান ফোরকান বলেন, বৃদ্ধ ইছাহাক মোল্লা, তার স্ত্রী ও অসুস্থ ছেলে নিয়ে দূর্বিসহ অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। ঘরের ভিটি ছাড়া তাদের কোন জায়গা-জমি নেই। সরকারিভাবে অথবা সমাজের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সাহায্যে পরিবারটি বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে পারে।

অপর এক প্রতিবেশী নান্নু শিকদার বলেন, আমার বাড়ির পাশেই এছাহাক মোল্লার বয়স ৮৬ বছর, তার স্ত্রী রওশন আরা বেগমের বয়স ৮০ বছর। এই বৃদ্ধ বয়সে অসুস্থ ছেলে মোশারেফকে নিয়ে অসহায় অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত