ঝাল মুরি বিক্রয় করে চলছে সামসল এর জীবন সংসার

| আপডেট :  ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:৪১  | প্রকাশিত :  ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:৪১

আল আমিন কবির, সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ: জীবন-জীবিকার তাগিতে ঝালমুড়ি বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন সামসুল। ৩৫ বছর বয়সে এসেও ক্লান্তবোধ করেননি। তিনি দীর্ঘ ২০বছর ধরে ফেরি করে ঝাল মুড়ি বিক্রি করে যাচ্ছেন সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন স্থানে। সকাল থেকে তিনি উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের শান্তি নগর দারুল নাজাত নুরানি মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাছে ঝাল মুরি সামসল কাকা হিসেবে পরিচিত। কোমলমতি ছাএছাএীরা মাদ্রাসায় এসেই সামসল কাকার জাল মুড়ি খাওয়ার অপেক্ষায় থাকে। নারী পুরুষ সহ সকলেই ঝাল মুড়ি খাওয়ার অপেক্ষায় থাকে।

তিনি সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়েনর মঙ্গলের গাও গ্রামের

নুর ইসলামের ছেলে। দারিদ্র কষাঘাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঝাল মুড়ি বিক্রি করে আসছেন।

দারিদ্র কষাঘাত থেকে কিছুটা মুক্তি পেলেও বৃদ্ধ বাবা মায়ের ভরণপোষণে তাকে ঝাল মুড়ি বিক্রি করতে হচ্ছে। অবশ্য একটু আরাম-আয়েশে জীবন কাটানোর কথা থাকলেও এখনও এই মুখোরচক ঝাল মুড়ি বিক্রি করে সংসার চালানোর তাগিতে। প্রায় ১ হাজার টাকার চালান খাটিয়ে এই ঝাল-মুড়ি বিক্রি করেই বৃদ্ধ বাবা মায়ের দায়িত্ব তার কাধে নিয়ে এখন হিমশিম খাচ্ছেন। ঝাল মুড়ি বিক্রি করার জন্য পিরোজপুর ইউনিয়নের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে তাকে ফেরি বিক্রয় করছেন ঝাল মুরি। ঝাল-মুড়ি, ঝাল-মুড়ি বলে বিক্রি করছেন।
তিনি ৩৫ বছর জীবনে এখন ও রয়েছেন অবিবাহিত,তিন ভাই ও তিন বোনের সংসার তিনি সংসারে দ্বিতীয় সন্তান হিসেবে

তার আশা বাবা মায়ের দায়িত্ব তার কাছে বড় । বাবা মাকে বালো রাখবে এই আশা বুকে ধারন করে প্রতিনিয়ত সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছুটছেন ঝাল-মুড়ির ঝুড়ি নিয়ে এই এলাকার প্রত্যান্ত অঞ্চলে। ক্লান্ত কন্ঠে সামসল আলম বলেন বলেন, ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠে কাঁধে ঝাল-মুড়ির ঝুড়ি নিয়ে এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে ছুটতে ছুটতে হয় তাকে,

দায়িত্ব বড় কঠিন জিনিস

কোন অসৎ কাজ নয় ব্যবসা ছোট হলেও সততার সাথে থাকলে ভাল ভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব হয়। এতে এলাকার লোকজন আমাকে ভালবাসে এবং আমার মুখোরুচক ঝাল মুড়ি সকলের পছন্দ করে ছাত্র/ছাত্রীসহ অনেকেই, আমি জীবন যুদ্ধে এই ঝাল মুড়ি বিক্রি করেই যাবো বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি

০১৮৩১৮৩৫৫১৬

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত