অবৈধ ডিস ব্যবসা, ব্যবস্থা নিতে ইউএনওকে চিঠি

| আপডেট :  ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৫১  | প্রকাশিত :  ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৫১

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে অবৈধ ভাবে ডিস লাইনের ফিট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে সংঘবদ্ধ একটি অসাধু চক্র। চক্রটি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় পেকুয়া সদর, টৈটং, শিলখালী, বারবাকিয়া, রাজাখালী, উজানটিয়া ও মগনামা ৭টি ইউনিয়নে হাজার হাজার গ্রাহকের মাঝে ডিস লাইনের ফিট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে সরকার প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এদিকে অবৈধ ক্যাবল নেটওয়ার্ক এর কার্যক্রম বন্ধ করতে পেকুয়া আকাশ ডিটিএইচ ডিলার নুরুল আমিন পেকুয়া নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ইতোমধ্যে একটি আবেদন করেন।

নুরুল আমিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে অবৈধ ক্যাবল নেটওয়ার্ক পরিচালনাকারী ৬জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন ২০০৬ অনুসারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পেকুয়া প্রশাসককে অনুরোধ করেন। কিন্তু অদ্যাবধি সরকারের রাজস্ব ফাঁকির মাধ্যমে অবৈধ ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসা পরিচালনাকারী এসব ব্যক্তি , প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

ফলে পেকুয়া উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে দিব্যি ট্যাক্র ফাঁকির অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে পেকুয়া সদর ভোলাইয়া ঘোনার দেলোয়ার, শিলখালীর ইউনিয়নের সাইফুল, মগনামার ইউনিয়নের খোকা, রাজাখালী ইউনিয়নের রুহুল আমিন, চট্রগ্রামের বাঁশখালী পুইছড়ি ইউনিয়নের জিয়া উদ্দীন, চাম্বল ইউনিয়নের জসিম, আরও অনেকেই।

এদিকে বৈধ ডিস ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত নুরল আমিন অভিযোগ করেন- অত্র উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে এপসিএন ক্যাবল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে উল্লেখিত দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে লাখ লাখ টাকা সরকারী রাজস্ব, ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে ডিস ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ প্রতি বছর আমার আকাশ ডিটিএইচ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যামে আমার বৈধ লাইসেন্সের ব্যবসা পরিচালনা করিতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিপরীতে সরকারকে লাখ লাখ টাকা কর পরিশোধ করতে হয়। তিনি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে উপজেলার বিশাল এলাকায় অবৈধ ডিস ব্যবসায়ী চক্রটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও এর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত