ইরান ও সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে সৌদি আরব

| আপডেট :  ০৯ জুন ২০২১, ১০:৪৫  | প্রকাশিত :  ০৯ জুন ২০২১, ১০:৪৫

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান এবং সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ইঙ্গিত দিয়েছে সৌদি আরব। কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের বিষয়ে একটি চুক্তির খুব কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে সৌদি আরব এবং সিরিয়া। আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে রিয়াদ যখন নতুন নীতি গ্রহণ করতে যাচ্ছে তখন এই খবর এলো। সৌদি আরব এবং সিরিয়ার মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনা কমানোর ব্যাপারে ইরানের পক্ষ থেকে বিশেষ তৎপরতার রয়েছে। কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, এর ফলেই সৌদি আরব কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রের বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান তেহরানের সঙ্গে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করছেন, এই প্রচেষ্টায় ইরান বন্ধুদেশ সিরিয়াকে সম্পৃক্ত করেছে।

সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সৌদির যুবরাজ সিরিয়াকে আশ্বস্ত করতে জানিয়েছে, সিরিয়ায় সরকার পরিবর্তন চায় না রিয়াদ; বরং সিরিয়া সৌদির ভ্রাতৃসুলভ আরব দেশ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সৌদি আরব এবং সিরিয়ার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়া উচিত।

সিরিয়ার সূত্র জানিয়েছে, সৌদি যুবরাজের মনোভাবকে তাৎক্ষণিকভাবে ইরান স্বাগত জানিয়েছে।

সৌদি-ইরান শত্রুতার কারণ কী?
সৌদি আরব ও ইরান -শক্তিশালী দুই প্রতিবেশী দেশ। আঞ্চলিক আধিপত্য বজায় রাখতে বহু বছর ধরে উভয় দেশ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। বহু দশক ধরে চলে আসা এই শত্রুতা আরও তীব্র হয়েছে দুটো দেশের ধর্মীয় পার্থক্যের কারণে।

এ দুটো দেশ ইসলাম ধর্মের মূল দুটো শাখার অনুসারী – ইরান শিয়া মুসলিম দেশ, অন্যদিকে সৌদি আরব সুন্নি মুসলিম। মধ্যপ্রাচ্যের বাকি মানচিত্রেও দেখা যায়, কোনো দেশ শিয়া আবার কোনটিতে সুন্নি অনুসারীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাদের কেউ ইরানের সঙ্গে আবার কেউ সৌদি আরবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ।

ইসলাম ধর্মের জন্ম হয়েছে সৌদি আরবে। এ কারণে ঐতিহাসিকভাবে তারা নিজেদেরকে মুসলিম বিশ্বের নেতা বলে দাবি করে। কিন্তু ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবে সফল হওয়ার পর ইরান এই দাবি চ্যালেঞ্জ করে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত