বিরল প্রজাপতির ‘মুখপোড়া’ হনুমান, খাবারের খোঁজে লোকালয়ে
খাবারের খোঁজে বনাঞ্চল থেকে লোকালয়ে আসা দেড় সপ্তাহ ধরে অসুস্থ হয়ে পড়া একটি বিরল প্রজাতির (মুখপোড়া) হনুমানকে উদ্ধারের জন্য গেল দুদিন ধরে ‘৯৯৯- এ’ নম্বরে ফোন করেও কোনো সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌর শহরের ডুবাইল গ্রামের শিমুল আল মামুন নামের এক ব্যবসায়ী। মামুন ওই গ্রামের সহির উদ্দিনের ছেলে।
বিরল প্রজাতির এই হনুমানটি অসুস্থ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রায় দেড় সপ্তাহ আগে কুকুড়ের তাড়া খেয়ে তাদের বাড়ির একটি গাছে অবস্থান নেয়। বুধবার (৯ জুন) সকালে বৃষ্টিতে ভিজে হনুমানটি আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রাণীটি গাছ থেকে মাটিতে পড়ে যায়। এসময় স্থানীয় লোকজন প্রাণীটি পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেন।
মামুন জানান, বনাঞ্চল থেকে আসা কুকুড়ের তাড়া খেয়ে সপ্তাহ আগে হঠাৎ করেই তাদের বাড়িতে আসে হনুমানটি। পায়ে কুকুড়ের কামড়ানো ক্ষতছিল। অসুস্থ অবস্থায় কাতরাচ্ছিল হনুমানটি। আমি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও সেবা করি। এদিকে, বাড়িতে হনুমান আসার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন বাড়িতে ভিড় করতে থাকেন। কেউ কেউ কলা, পাউরুটিও খেতে দেন।
শিমুল জানান, গত দু’দিন আগে হনুমানটি গাছ থেকে মাটিতে নেমে আসে খাবার খেতে। এসময় আবারও অনয একটি কুকুর তার পিঠে কামড় দেয়। পরে মামুন ও তার বোনসহ অন্যান্যরা হনুমানটি ক্ষত স্থানে ওষুধ লাগিয়ে দেন। পরে ফের গাছের ডালে উঠে যায়। এতে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে প্রাণীটি। এরপর থেকে দুদিন (মঙ্গল এবং বুধবার) ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়েও কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না এলাকাবাসী।
হনুমানটি দিন দিন অসুস্থতার কবলে পড়লে মামুন দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। পরে স্থানীয় একজনের সহযোগিতায় আজ বুধবার বিকালে মধুপুর থেকে আসা একদল উদ্ধারকারী টিমের কাছে হনুমানটি হস্তান্তর করেন। এরপর ওই টিম হনুমানটিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টাঙ্গাইল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রানা মিয়া বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। হনুমানটির চিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য বলা হলে তারা দ্রুত উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত