সোনারগাঁয়ের এখানেই হাদিসচর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র চালু করেছিলেন শেখ শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামা (রহ:)

| আপডেট :  ২৩ মার্চ ২০২৩, ১০:৩১  | প্রকাশিত :  ২৩ মার্চ ২০২৩, ১০:৩১

আল আমিন কবির, সোনারগাঁও নারায়ণগঞ্জ: ইসলাম আজ সারা বিশ্বে বিস্তৃত পৃথিবীর সর্বত্র পৌঁছে গেছে ইসলামের দাওয়াত। ইসলামের শাশ্বত ও সুন্দর পয়গাম বিশ্বময় ছড়িয় দিতে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের অন্যতম ছিলেন শেখ শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামা (রহ.) তিনি আজ ঘুমিয়ে আছেন সোনারগাঁয়ের পবিএ স্থান পীর পয়গম্বরদের আস্তানা সোনারগাঁয়ে।

তিনি ছিলেন ইয়েমেনের অধিবাসী।

আনুমানিক ১২৭৭ সালের দিকে ভারতীয় উপমহাদেশে আগমন করেন এ ইসলাম প্রচারক। তখন ছিলো সম্রাট গিয়াসউদ্দিন বলবনের আমল। তাকে কাছে পেয়ে মুসলমানরা বেজায় খুশি হন। ভারতীয় মহাদেশের নানা প্রান্ত থেকে লোকজন তার কাছে আসতে থাকেন দ্বীন শিখার জন্য। তার ব্যাপক পরিচিতিতে ঈর্ষান্বিত হয়ে সম্রাট গিয়াসউদ্দিন বলবন তাকে ভারত থেকে পাঠিয়ে দেন প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁয়ের

মোগড়াপাড়া ইউনিয়নের দরগাহ বাড়ি এলাকায় এখনো পর্যটকেরা ভীর করেন মাজার জিয়ারতে পয়গম্বরদের আস্তানায়,জানাযায় হযরত( শাহ),হযরত দানেশ মান্দ( র) , হযরত মুন্না (শাহ) র সমাধী ও রয়েছে, পাশে রয়েছে দৃষ্টি নন্দন পুকুর ঘাট, বকুল গাছ,অমৃত ফল গাছ, সফেদা ফল গাছ,আম গাছ,বেল গাছ, চন্দন গাছ, জামরুল গাছ, জাম্বুরা গাছ, লটকন গাছ, কাঠাল গাছ দৃষ্টি কারছেন দেশি বিদেশি পর্যটকদের

সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া ইউনিয়নের দরগাহ বাড়ি এলাকায় ইলমে হাদিসের দরসগার চালু করেন এ হাদিসবেত্তা। ১৩০০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ২৩ বছর সেখানে হাদিসের শিক্ষা ও ইসলামের প্রচার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখে ছিলেন তিনি।

ঐতিহাসিকরা ধারণা করেন এ মাদ্রাসার ছাত্র সংখ্যা ছিল প্রায় দশ হাজার। ঐতিহাসিকদের বিশুদ্ধ তথ্যমতে এটাই হল উপমহাদেশের প্রথম হাদিসচর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র।
এখন সেখানে গেলে দেখা যায় কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি বিজরিত সেই নান্দনিক কারুকাজ খচিত বিভিন্ন স্থাপত্য

দুঃখজনক হলেও সত্য, একদিন সোনারগাঁ থেকে ছড়িয়ে পড়া ইলমে নববীর যে আলোক শিখা সমগ্র উপমহাদেশকে আলোকিত করেছিল, অযত্ন অবহেলায় আজ তার শেষ স্মৃতিচিহ্নটুকুও বিলিন হওয়ার পথে।

সোনারগাঁয়ে অবস্থিত বাইতুন নুর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা হাফিজুর রহমান বলেন শরফুদ্দীন আবু তাওয়ামা ছিলেন একজন আলেম, সাধক, সুফি ও গবেষক, যুগশ্রেষ্ঠ হাদিস বিশারদ ও ইসলামী আইন বেত্তা। তিনি যে মিশন নিয়ে এখানে হাদিসচর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র চালু করেছিলেন তার স্মৃতিটুকুও আমরা ধরে রাখতে পারিনি।

বেশ কিছুদিন আগে সোনারগাঁয়ের ওলামায়ে কেরাম তার স্মৃতিবিজড়িত এ স্থানকে সংরক্ষণের উদ্যোগ নিলেও এখন পর্যন্ত এর কোনো অগ্রগতি চোখে পড়েনি । এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য সমগ্র মুসলিম দুনিয়ার গর্ব ও গৌরবের স্থান। এটার সংরক্ষণে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানান সোনারগাঁয়ের ধর্মপ্রাণ মানুষেরা।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত