সৌদিতে কুরবানি কবে, জানা যাবে আজ
মধ্যপ্রচ্যের দেশ সৌদি আরবে আগামীকাল জিলকদের ২৯তম দিন। সে হিসেবে পবিত্র কুরবানি কবে হবে তা জানতে মুসলিশ বিশ্বকে চাঁদ দেখতে আহ্বান জানিয়েছে সৌদি। যদি আজ জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যায় তাহলে আগামী ২৮ জুন সৌদিতে ঈদ পালন করা হবে।
সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্ট ইতোমধ্যে ১৪৪৪ হিজরি সনের জিলকদ মাসের চাঁদ দেখতে সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। কেউ যদি কেউ চাঁদ দেখে থাকেন, তাহলে সংবাদটি দ্রুত সময়ের মধ্যে নিকটস্থ আদালতে বা সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তার মাধ্যমে আদালতকে অবহিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
জিলহজ মাসের চাঁদ ওঠার উপর নির্ভর করেই ঈদুল আজহার তারিখ নির্ধারণ করা হবে। ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী, জিলহজ মাসের ১০ তারিখে পশু কুরবানির মাধ্যমে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ ঈদ পালন করেন।
ঈদুল আজহা মুসলিমদের অন্যতম বড় উৎসব। এদিন একসঙ্গে নামাজ আদায়, দান-সদকা এবং পশু কুরবানি করে থাকেন তারা।
কুরবানির হলো আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের অনন্য মাধ্যম। কুরবানির শুরু হয়েছিল হজরত আদম আলাইহিস সালামের দুই ছেলে হাবিল ও কাবিলের মধ্যে সংঘটিত করবানির মাধ্যমে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে রাসূল! আপনি তাদেরকে আদমের পুত্রদ্বয়ের বৃত্তান্ত যথাযথভাবে পাঠ করে শুনান। যখন তারা উভয়েই কুরবানি করেছিল, তখন একজনের কুরবানি কবুল হ’ল এবং অন্যজনের কুরবানী কবুল হলো না।
কুরবানির প্রচলন হজরত আদম আলাইহিস সালামের যুগ থেকে শুরু হলেও মুসলিম উম্মাহ কুরবানি মূলত হজরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালামের আল্লাহর সন্তুষ্টির পরীক্ষায় হজরত ইসমাইল আলাইহি সালামকে কুরবানির স্মৃতিময় ঘটনা নিজেদের মধ্যে বিরাজমান করা।
আল্লাহ তাআলা হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে কঠিন অগ্নি পরীক্ষায় ফেলেছিলেন এ কুরবানির নির্দেশ প্রদান করে। যা তিনি হাসিমুখে পালন করে আল্লাহর প্রেমের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন ইবরাহিম (আলাইহিস সালাম) কে তাঁর পালনকর্তা কয়েকটি বিষয়ে পরীক্ষা করলেন, অতঃপর তিনি তা পূর্ণ করলেন, তখন তিনি বললেন, আমি তোমাকে মাবনজাতির নেতা বানিয়ে দিলাম।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১২৪)
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত