‘আগামী নির্বাচন কঠিন হবে’, জাতীয় পার্টিকে আরও যে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
এরশাদ গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে তাকে এই বার্তা দেন সরকারপ্রধান। এদিকে ভারত সফরে থাকা জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের দেশটির সংবাদমাধ্যমকে নির্বাচন নিয়ে তার তৃতীয় বিকল্প ফর্মুলার কথা জানিয়েছেন। তবে সেই ফর্মুলায় কী তা ঢাকায় থাকা জাপা নেতারা জানাতে পারেননি।
প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ। সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামী নির্বাচন কঠিন হবে, এ বিষয়ে দুই নেত্রীই একমত হয়েছেন। এটি মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করেছিলেন জাতীয় পার্টির তৎকালীন চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। রওশনের নেতৃত্বে দলের একাংশ ভোটে অংশ নেয়। বিএনপিবিহীন নির্বাচনে ৩৪ আসন পেয়ে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে জাপা। এরশাদের পথ ধরে জি এম কাদের বিএনপিবিহীন ওই নির্বাচন বর্জন করেছিলেন।
দশম সংসদে একই সঙ্গে সরকারে এবং বিরোধী দলে ছিল জাপা। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জাপাকে ২৬টি আসন ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। দলটি ২২ আসনে জয়ী হয়ে ফের প্রধান বিরোধী দল হয়।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা। ২০১৪ সালের মতো আগামীতেও বিএনপিবিহীন নির্বাচন হতে পারে বলে গুঞ্জন থাকলেও বিরোধীদলীয় নেতাকে সরকারপ্রধান বার্তা দিয়েছেন, বিএনপি ভোটে আসবে। তা বিবেচনায় রেখে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে।
এ সময় রওশন এরশাদের সঙ্গে গণভবনে গিয়েছিলেন তার ছেলে রাহগির আল মাহি এরশাদ সাদ এমপি, তার মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশীদও। রওশনপন্থিরা জানান, ২০১৪ সালের নির্বাচন এরশাদ বর্জন না করলে জাপা ৭০ থেকে ৮০টি আসন পেতে পারত। আগামী নির্বাচনে বিএনপি ও দলটির সমমনারা বর্জন করলে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে জাতীয় পার্টিকে বেশি সংখ্যক আসন ছাড়তে পারে আওয়ামী লীগ।
তবে রওশনের সঙ্গে গণভবনে যাওয়া একজন জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি জাপার এমপিদের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নন। তাদের নির্বাচনী এলাকামুখী করতে রওশন এরশাদকে বলেছেন। গণসংযোগ বাড়াতে বলেছেন তিনি। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলেও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন হবে না বলে বার্তা দিয়ে বলেছেন, ‘এবার নিজের যোগ্যতায় জিতে আসতে হবে।’
আগামী নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর চাপ রয়েছে সরকারের ওপর। রওশনের সঙ্গে গণভবনে যাওয়া একজন জানান, চাপ থাকলেও প্রধানমন্ত্রী তা কাটিয়ে উঠতে পারবেন এমন আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে তাকে।
সূত্র: দৈনিক সমকাল
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত